পুলিশ টাকা অফার করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের বাবা। আর সেই অভিযোগের পরই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখিয়ে দাবি করা হল যে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে ‘টাকা দেওয়ার’ বিষয়টিকে আগে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলেছিলেন তিনি। আর তাতে ‘ভীষণ কনফিউজড’ হয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘সব গুলিয়ে যাচ্ছে..। কিছু বুঝতে পারছি না।’ যদিও দেবাংশু বলেছেন যে পুলিশ যদি সত্যিই টাকা ‘অফার’ করে থাকে, তাহলে ‘ঘৃণ্য কাজ’ করেছে। যদিও আপাতত কলকাতা পুলিশের তরফে সে বিষয়ে জানানো হয়নি।
তৃণমূল নেতার পোস্ট করা ভিডিয়োয় কী আছে?
দেবাংশু যে ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করেছেন, তাতে দু'জন পুরুষের কণ্ঠ শোনা গিয়েছে। একজন প্রশ্ন করছেন। অপর যে পুরুষ কণ্ঠ শোনা গিয়েছে, তা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) বাবার বলে দাবি করা হয়েছে। আর যে মহিলা কণ্ঠ শোনা গিয়েছে, তা তরুণী চিকিৎসকের মায়ের বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা।
প্রশ্নকর্তা: বিভিন্ন জায়গায় একটা প্রচার হচ্ছে যে পুলিশ-প্রশাসন থেকে নাকি কোনও টাকা দিয়ে (এই কথাটা বলার পরই অপর পুরুষ কণ্ঠ শোনা যায়) ধামাচাপা …..
পুরুষ কণ্ঠ: কে বলল এই কথাটা? কে বলল এটা? কীভাবে বলল এটা?
প্রশ্নকর্তা: এই তো হচ্ছে।
পুরুষ কণ্ঠ: না, না, কীভাবে বলল? আমাদের এই সম্বন্ধে কিছু বলার দরকার কী আছে? এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি।
প্রশ্নকর্তা: ছি! ছি!
মহিলা কণ্ঠ: আমরা কাউকে কিছুই বলিনি।
প্রশ্নকর্তা: তাহলে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে গল্প?
পুরুষ কণ্ঠ: হ্যাঁ। মিথ্যে গল্প বানিয়ে একটা শ্রেণি থেকে এসব শুরু হয়েছে। আমরা বিচার চাইছি। আমরা যাতে ন্যায়বিচার পাই, সেই ব্যবস্থা করুক। সহযোগিতা করুক। মিথ্যা প্রচার করার চেষ্টা করছে কেন তাদের নিজেদের প্রচারের জন্য।
‘সব গুলিয়ে যাচ্ছে’, দাবি দেবাংশুর
আর ওই ভিডিয়োর (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) সঙ্গে দেবাংশু লেখেন, ‘ভীষণ কনফিউজড লাগছে। এটা কিছুদিন আগের ভিডিয়ো। আজ (বুধবার) মা, বাবা প্রেস কনফারেন্সে বললেন, পুলিশ তাঁদের টাকা অফার করেছিল। যা হয়ে থাকলে, সত্যিই ঘৃণ্য কাজ..। কিন্তু এখন এই পুরনো ভিডিয়োটা দেখে সব গুলিয়ে যাচ্ছে..। কিছু বুঝতে পারছি না।’
নিজের লেখা ‘এডিট’ দেবাংশুর
পরে অবশ্য নিজের বক্তব্য ‘এডিট’ করে দেন তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু। বড় লেখা পালটে তিনি শুধু লেখেন, ‘মা-বাবার বক্তব্য শুনুন..।’ সঙ্গে উল্লেখ করে দেন, তিনি যে ভিডিয়োটি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করেছেন, সেটি ‘কিছুদিন আগের’।