দেবাংশু ভট্টাচার্য। উৎসবে ফিরুন বলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন পরামর্শ দিয়েছিলেন তখনও দেবাংশু নানা বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। এবার সুপ্রিম কোর্ট যখন জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার কথা জানিয়েছে তখনও কীভাবে জুনিয়র চিকিৎসকরা না থাকার কারণে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে তারই তালিকা নিয়ে হাজির দেবাংশু।
দেবাংশু এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘দেরিতে চিকিৎসকা পরিষেবার হুগলিতে আবার একটি জীবন চলে গেল। এটা ক্রমেই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে যে প্রতিটি ঘণ্টার নিস্ক্রিয়তার জন্য আমাদের বড় মূল্য দিতে হচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস আমাদের চিকিৎসকরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নেবেন ও আজকে ৫টার মধ্য়ে কাজে ফিরবেন।’
‘প্রতিবাদ যুক্তিযুক্ত, কিন্তু জীবনের মূল্য তার থেকেও বেশি। মানুষের প্রয়োজনটা সবার আগে আসা দরকার। ’
সেই সঙ্গেই সর্বভারতীয় তৃণমূলের একটি পোস্ট সামনে আনা হয়েছে।
সেই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘চিকিৎসকদের কাজ থেকে বিরত থাকার বিষয়টির জেরে অনেকের জীবন চলে যাচ্ছে। এই সময় হুগলির হরিপালের এক বাসিন্দা চিকিৎসা না পেয়ে মারা গিয়েছেন।’ সেই সঙ্গেই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে মৃতের পরিজনরা বলছেন, আমার বাবাকে বাইকে ধাক্কা মেরেছিল। মাথার পেছনে ধাক্কা দেয়। পুলিশের গাড়ি করে প্রথমে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চুচুঁড়া হাসপাতালে রেফার করেছিলেন। এরপর কল্যানী এইমসে রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারি কোনও হাসপাতাল রয়েছে কি না আমরা জানতাম না। দুটো হাসপাতালে আমরা ঘুরেছি। এরপর কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যাই। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে তারা না থাকায় ভর্তি করতে পারিনি। বাবা মারা গেছেন।
এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জন্য ২৩জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন রাজ্যের তরফে কপিল সিব্বল। এরপরই জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার জন্য বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এমনকী রাজ্য যদি পদক্ষেপ করে তবে দায়ী করা যায় না বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৫টার মধ্য়ে কাজে ফেরার জন্য সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল।
তবে জুনিয়র ডাক্তাররা আবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে বেরিয়েছেন। সেই সঙ্গেই তাঁরা জানিয়েছেন আমাদের কর্মবিরতির জেরে কেউ মারা যাচ্ছেন এমনটা নয়। তাছাড়া এত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সেখানে কি চিকিৎসা হচ্ছে না?
সাধারণ মানুষেরও একটাই প্রশ্ন হরিপালে কারোর দুর্ঘটনা হলে কেন তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসতে হচ্ছে? হুগলিতে কেন তার চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে না? এর দায় কি স্বাস্থ্য দফতরের নয়? সেই সঙ্গেই জীবনের মূল্য তো ওই মহিলা চিকিৎসকেরও ছিল,সেই প্রশ্নের কেন উত্তর মিলছে না?