কয়েক শ’ নয়, ভুয়ো টিকাকরণ শিবির থেকে প্রায় ১,০০০ জনকে টিকা দিয়েছিলেন ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেব। এমনই তথ্য জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, দেবাঞ্জনের শিবির থেকে যাঁরা টিকা নিয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। আশার কথা, তাঁদের কারও কোনও উপসর্গ নেই।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, এখনো পর্যন্ত ২টি ভুয়ো টিকাকরণ শিবির থেকে প্রায় ১,০০০ জনকে ভুয়ো টিকা দেওয়া হয়েছে। এদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কলকাতা পুরসভা স্বাস্থ্য বিভাগ। বিভিন্ন জায়গায় পুরসভার তরফে যে শিবির করা হয়েছে তাতে হাজির হয়েছিলেন ৭০০ জন। বাকি ৩০০ জনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছেন আধিকারিকরা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জাল টিকা গ্রহীতাদের কারও দেহেই কোনও উপসর্গ নেই।
ওদিকে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের গুদাম থেকে দেবাঞ্জনের সংস্থাকে কোনও টিকা দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ স্বাস্থ্য দফতর যে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় তা স্পষ্ট হয়েছে। তবে এর পর উঠেছে নতুন প্রশ্ন, তাহলে টিকার বদলে কী ছিল সেই ভায়ালে?
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, জাল টিকার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে কারও কোনও উপসর্গ না দেখা দেওয়ায় আপাতত আশ্বস্ত তারা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ভুয়ো টিকা প্রাপকদের আসল টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে তারা। ভুয়ো টিকা গ্রহণের পর ১৪ দিন পার হলে আসল টিকা দেওয়া হবে তাঁদের। এমনই পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।