দেবাঞ্জনের দ্বারা তিনিও প্রতারিত। এমনই দাবি তাঁর সহকারী সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওই ভুয়ো IAS আধিকারিকের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিতে দেখা গিয়েছে ওই তরুণীকে। তাঁর দাবি, দেবাঞ্জনের কীর্তি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি।
রবিবার সন্ধ্যায় সুস্মিতাদেবীর বাড়িতে যান সাংবাদিকরা। প্রশ্ন করেন, আপনাকে তো কলকাতা পুরসভার ডেপুটি সেক্রেটারি হিসাবে পরিচয় করাতেন দেবাঞ্জন। প্রশ্নের মুখে কার্যত বিধ্বস্ত দেখায় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘দেবাঞ্জন আমাকে অ্যাডমিন অফিসার হিসাবে নিয়োগ করেছিল। আমি নিজে কখনো নিজেকে ডেপুটি সেক্রেটারি বলে দাবি করিনি। ওই পদমর্যাদায় কোথাও সইও করিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি মাস দেড়েক হল দেবাঞ্জনের সঙ্গে কাজ করছিলাম। দেবাঞ্জনের আয়োজিত ২টি ভুয়ো টিকাকরণ শিবিরেই হাজির ছিলাম। সেখানে আমাকে নাম লেখার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি।’
সুস্মিতাদেবীর দাবি, দেবাঞ্জনের অফিসে সমস্ত কিছু পুরসভার আসল দফতরের মতো। ফলে প্রতারণা ধরার উপায় ছিল না। তাছাড়া প্রশ্ন করা একেবারে পছন্দ করতেন না তিনি। প্রশ্ন করলেই ধমক দিতেন। নিরব অনুগত কর্মীই ছিল তাঁর পছন্দ। তাই মুখ বুঁজে কাজ করতেন তিনি।
সুস্মিতাদেবী বলেন, ‘আমি ওর কাছ থেকে টিকা নিয়েছি। আমার ভাই ও মা সেখান থেকে টিকা নিয়েছে। ভুয়ো জানলে কি আমরা নিজেরা টিকা নিতাম? আমার মায়ের বয়স ৬০ বছর। মাকে নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।’