ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের খুড়তুতো দাদা কাঞ্চন দেবকে সোমবার রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর তার পর থেকে প্রকাশ্যে আসছে তাঁর একের পর এক কীর্তি। গোয়েন্দাদের দাবি, প্রতারণায় দেবাঞ্জনের প্রধান পরামর্শদাতা ছিলেন কাঞ্চনই। এমনকী বধূনির্যাতনের অভিযোগও ছিল। ৫ বছর আগে সেই অভিযোগে গ্রেফতারির পর তাঁকে জামিন পেতে সাহায্য করেছিলেন দেবাঞ্জন।
দেবাঞ্জনের গ্রেফতারির পর সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে তিনি নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন কাঞ্চন। তিনি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলেও দাবি করেন। কিন্তু তদন্তে উঠে আসে অন্য তথ্য। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, দেবাঞ্জনের ভুয়ো অফিসে আস্ত একটা ঘর ছিল কাঞ্চনের জন্য। কয়েকমাস আগে কাঞ্চন অফিসে যোগদান করলে তাঁর জন্য ওই ঘর বানান দেবাঞ্জন। পুরসভার কন্ট্রোলিং অফিসার বলে পরিচয় করিয়ে দিয়ে অফিসের কর্মীদের তিনি বলেছিলেন, কাঞ্চনকে উপযুক্ত সম্মান দিতে হবে। তাই কাঞ্চন অফিসে ঢুকলে উঠে দাঁড়াতেন সবাই।
কর্মীরা জানিয়েছেন, দেবাঞ্জনের মতো কাঞ্চনের ঘরেও ঢোকার অনুমতি ছিল না কারও। মাঝে মাঝে কাঞ্চন দেবাঞ্জনের ঘরে গিয়ে বৈঠক করতেন।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, কাঞ্চন দেবের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযোগ ছিল পুলিশের কাছে। তাঁর বিরুদ্ধে বধূনির্যাতন ও জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ করেছিলেন স্ত্রী ঋতুপর্ণা দেব। দম্পতির একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। সেই মামলায় গ্রেফতার হন কাঞ্চন। তখন তাঁর জামিনের ব্যবস্থা করেছিলেন দেবাঞ্জন। এর পর ২০১৬ সালে স্ত্রীকে চিঠি দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানান কাঞ্চন।
গোয়েন্দাদের অনুমান, দাদা-ভাইয়ের জুটি অনেক পুরনো। আগে ফোনে ভাইকে পরামর্শ দিতেন দাদা। তবে সম্প্রতি প্রতারণা চক্র জাঁকিয়ে বসায় দাদাকে সরাসরি অফিসে নিয়ে এসেছিলেন দেবাঞ্জন।