আরজি করে দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের ডেমনস্ট্রেটর দেবাশিস সোমের। ইতিমধ্যেই দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। তারপরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পরপরই তিনি ছেলের কাছে জার্মানিতে চলে গিয়েছিলেন বলে খবর রটেছিল। তবে তাঁর পরিবারের দাবি, তিনি বাড়িতেই রয়েছেন। একইসঙ্গে আরজি কর দুর্নীতি চক্রে তাঁর নাম জড়ানোয় হতবাক হয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁরা যেন কোনওভাবে এ কথা বিশ্বাস করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে 'অন্য কারও নির্দেশ'? সন্দীপ ঘোষেরও 'মাথা' খুঁজছে সিবিআই?
আরজি করের চিকিৎসকদের দাবি, দেবাশিস প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতির প্রধান পরামর্শদাতা ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসক হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। তিনি বিভাগেও খুব একটা যেতেন না। সন্দীপ ঘোষের পাশেই তাঁর জন্য সমমানের একটি ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানেই বসতেন দেবাশিস। তাঁর নাম সিবিআই স্ক্যানার আসার পরেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। তার আগে গত ২৫ অগস্ট তার বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছিল। এদিকে, অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ডায়াবেটিস, কিডনি, অন্ত্র এবং ফুসফুসের সমস্যা থাকার কারণে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
এদিকে,খবর ছড়িয়ে পড়ে যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই তিনি জার্মানিতে ছেলের কাছে চলে গিয়েছেন। যদিও তাঁর স্ত্রী সেই দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী এখন অসুস্থ রয়েছেন। বাড়িতেই আছেন। বিশ্রাম নিচ্ছেন। কারও সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, দেবাশিসের বাড়ি কেষ্টপুরে। তবে তাঁর নাম জড়ানোয় কিছুটা হতবাকই হয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, বিপদে পড়লেই তিনি মানুষকে সাহায্যের জন্য যেভাবে হাত বাড়িয়ে দিতেন, তা সচরাচর দেখা যায় না। তিনি আগে ১০ টাকাতে রোগী দেখতেন। স্থানীয়রা জানান, কেষ্টপুরের বাসিন্দারা দেবাশিস সোমকে ‘গরিবের ডাক্তার’ বলেই চেনেন। তার চিকিৎসার পর অনেকেই সুস্থ হয়েছেন।