আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। এবার আর ঐক্যবদ্ধ ইন্ডিয়া জোট গড়ে ওঠেনি। আপ একক লড়াই করছে বিজেপির সঙ্গে। কংগ্রেসও এখানে পৃথকভাবে লড়ছে। এই সুযোগটাই নিতে চাইছে বিজেপি। এই সুযোগে দিল্লির কুর্সি দখল করতে চায় তারা। যার জন্য ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লির আপ সরকারের সমালোচনা করেছেন। কেন্দ্রের এক মন্ত্রী আতিশীর বাবা তুলে মন্তব্য করেছেন। এমন আবহে বঙ্গ–বিজেপির পাঁচজন শীর্ষ নেতা দিল্লি আসছেন প্রচার করতে।
ইতিমধ্যেই দিল্লির নির্বাচনে আম আদমি পার্টিকে সমর্থন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই দিল্লির নির্বাচনে প্রচারে আসছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু দিল্লির এই বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে আসার আগে বাংলার দলীয় নেতাদের জন্য রীতিমতো নির্দেশিকা তৈরি করে ফেলেছে বিজেপি। এমনকী তা পৌঁছেও দেওয়া হয়েছে ওই নেতাদের হাতে বলে সূত্রের খবর। আর সেখানে যা লেখা আছে তাতে চমকে ওঠার মতো বিষয়।
আরও পড়ুন: হুগলির সাহাগঞ্জে রবিবাসরীয় দুপুরে শুটআউট, মা–ছেলেকে গুলি করল প্রৌঢ়, তুমুল আলোড়ন
ওই নির্দেশিকায় পরিষ্কাপ বলা হয়েছে, দিল্লি নির্বাচনে প্রচারের ক্ষেত্রে শুধু আঞ্চলিক রাজনীতিতে আটকে থাকলে চলবে না। কারণ এটা দিল্লি। এখানে গোটা ভারতের বিষয় তুলে ধরতে হবে। তাই শুধুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা না করে সার্বিক ইস্যুকে আপনারা তুলে ধরুন। জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে এটাও একটা বড় খবর। কারণ বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করতে গিয়ে বাংলায় মুখ পুড়েছে বিজেপির। একের পর এক নির্বাচনে গোহারা হারতে হয়েছে। সেটা এখানে চাইছেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
কারা আসছেন দিল্লি নির্বাচনের প্রচারে? বিজেপি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত যা স্থির হয়েছে তাতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার দিল্লি নির্বাচনের প্রচারে আসছেন। এই বঙ্গ–বিজেপির নেতারা প্রধানত বাঙালি এলাকাগুলিতেই প্রচারের দায়িত্ব সামলাবেন। রাজু বিস্তাকে অবশ্য হিন্দিভাষী এলাকাগুলিতেও পাঠানো হতে পারে। আর কিছু ক্ষেত্রে দিল্লির নির্বাচনে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে আসতে পারেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।