ব্যবসায়ীর অডিয়ো টেপ ফাঁস কাণ্ডে ইডি আধিকারিকদের কলকাতা পুলিশের জারি করা সমনে স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, তদন্তে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। আগামী ১৭ মে পর্যন্ত জারি থাকবে এই স্থগিতাদেশ।
গত ১৭ মার্চ জারি এক নোটিশে গোরু ও কয়লাপাচারের তদন্তের দায়িত্বে থাকা ইডি আধিকারিকদের কালীঘাট থানায় তলব করে কলকাতা পুলিশ। ব্যবসায়ীর অডিয়ো টেপ ফাঁস কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২১ মার্চ সোমবার তাদের হাজিরা দিতে বলা হয়। প্রসঙ্গত ওই দিনই দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক। এর পর কলকাতা পুলিশের সমন খারিজের দাবি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি।
আবেদনে জানানো হয়, অডিয়ো টেপ ফাঁস কাণ্ডে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। গোরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে যুক্ত ইডি আধিকারিকদের প্রভাবিত করতে এই অভিযোগ করা হয়েছে। গোরুপাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা লোকসভার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন কলকাতা পুলিশের নোটিশে স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন, ‘এই বিষয়ে আরও বেশ কয়েকটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সেগুলির শুনানি হবে ১৭ মে। সেদিনই একসঙ্গে এই মামলাটিরও শুনানি হবে। ততদিন পর্যন্ত ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না কলকাতা পুলিশ।’