বালি খাদান নিয়ে স্পষ্ট নীতি ঘোষণার কথা আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার রাজ্যের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, বালি তোলা, গুদামজাত করা ও ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়া, এই পুরো কাজটিই হবে অনলাইনের মাধ্যমে। বালি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরিবহণ ব্যবস্থায় জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম থাকছে।
সম্প্রতি রাজ্যে শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে যাবতীয় সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে অর্থ, শিল্প, বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীরা ছিলেন। এই বৈঠকের পর মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদী জানান, ‘এবার থেকে অনলাইনের মাধ্যমে বালিখাদানের নিলাম হবে। বালি খাদান এখন পুরোটাই মাইনিং অ্যান্ড মিনারেলস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সম্পত্তি। তাই রাজ্য সরকার তা বিক্রি করবে। এরজন্য একটি পোর্টাল তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। এই পোর্টালের মাধ্যমেই বালি খাদান বিক্রি হবে। কেউ আবেদন করতে চাইলে এই পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন।’
মুখ্যসচিব এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোথা থেকে কোথায় বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তার ওপর নজর রাখতে প্রতিটি লরিতে জিপিএস সিস্টেম থাকছে। এরফলে পুরো পরিবহণের বিষয়টি নজরে থাকবে। তিনি জানান, ‘বালি কারা তুলবে, সেবিষয়ে আগামী ১৩ অক্টোবর টেন্ডার ডাকা হবে। পুজোর পরেই বালি তোলা থেকে শুরু করে ক্রেতার কাছে পৌঁছোনো যাবতীয় ব্যবস্থা হবে অনলাইনের মাধ্যমে।’ বালির পাশাপাশি ব্ল্যাক স্টোন নিয়েও একইরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ব্ল্যাক স্টোনও এবার মাইনিং অ্যান্ড মিনারালস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের আওতায় থাকবে। অনলাইনের মাধ্যমেই ব্ল্যাক স্টোন উত্তোলন ও তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ হবে।