নিউ টাউন জনসংখ্যা দিনের পর দিন বাড়ছে। কিন্তু পুর পরিষেবার কাজ দেখাশোনা করার জন্য কোনও জনপ্রতিনিধি নেই। আগেও ছিল না। এখনও নেই। হিডকো বা নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভরসায় তাঁদের থাকতে হয়। তাই নিজেদের সমস্যা যাতে তাঁরা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরতে পারে, সেজন্য সংগঠন তৈরি করছেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে পুরসভা তৈরির দাবি তুলেছেন বাসিন্দাদের একাংশের।
জানা গিয়েছে, নিউ টাউনে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাছে। বড় বড় আবাসনগুলিতে এখন ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া হয়েছে। যেসব আবাসনগুলি ফাঁকা পড়ে রয়েছে, সেখানে কেয়ারটেকাররা সপরিবারে বসবাস করছেন। তাঁরাও নিউ টাউনের বাসিন্দা হয়ে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পুরসভা বা কর্পোরেশন গড়ার প্রস্তাব উঠে আসছে বাসিন্দাদের একাংশের তরফ থেকে। সম্প্রতি নিউ টাউনের আবাসিক সংগঠন ‘নিউ টাউন সিটিজেন্স ওয়েলফেয়ার ফ্রেটার্নিটি’র তরফে জানানো হয়েছে, এলাকার সমস্যাগুলি নিয়ে হিডকো বা এনকেডিএ–এর সঙ্গে আলোচনা করা হয়। কিন্তু যে কোনও ছোট সমস্যা যে বড় হয়ে যেতে পারে, সেটা গত মঙ্গলবারের ঘটনা থেকেই প্রমাণিত। এগুলি পুর প্রতিনিধি ও তাঁদের লোকজনরাই নজরে রাখতে পারে।’ উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সাপুরজি এলাকায় একজন মহিলা আড়াই ঘণ্টা ম্যানহোলের মধ্যে আটকে ছিলেন। পরে এমডিআরএফ ও দমকল কর্মীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
পুরসভা বা কর্পোরেশন গড়া প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘নিউ টাউনে এখন সি স্তরের পুরসভা হতে পারে। নিউ টাউন পরিচালনা করার জন্য যা খরচ হয়, সেই স্তরের পুরসভা কিন্তু তা পাওয়ার মতো অধিকারী নয়। অনেক ফ্ল্যাটই এখন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। তবে আমি যখন মন্ত্রী ছিলাম, তখন নিউ টাউনকে পুরসভা করার একটি পরিকল্পনা নিয়েছিলাম।’ তবে এখনকার পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে থাকা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।