তিনি জনপ্রিয়। কারণ তিনি এমন সব কথা বলতে পারেন যা অনেকে কল্পনাও করতে পারেন না। সেটা গুড় বাতাসা থেকে চড়াম চড়াম ঢাক–সহ নানা স্লোগান হতে পারে। হ্যাঁ, তিনি বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এবার তাঁকে পাবার আবদার এলো ভিন রাজ্য থেকে। কেষ্ট দাকে পেতে কষ্ট করতেও রাজি ভিন রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। অগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই রাজ্যে আসছেন ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই রাজ্যে আন্দোলনের রূপরেখা জানতেই মমতা বন্দোপাধ্যায়–অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন তাঁরা। আর তার আগে তাঁদের আবদার, একবার যদি দর্শন পাওয়া যায় কেষ্ট দার।
আসলে কেষ্ট নামেই তিনি জেলায় খ্যাত। তৃণমূল সুপ্রিমোও তাঁকে কেষ্ট বলেই ডাকেন। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করা হয়েছে। তার জন্য কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা চাইছেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়–অভিষেক বন্দোপাধ্যায় একবার ত্রিপুরায় আসুন। আর ত্রিপুরা জুড়ে হাওয়া তুলতে তাঁরা দাবি করছেন, এখনই আসুন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট।
কিন্তু হঠাৎ কেষ্টর দাবি কেন? ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আশিসলাল সিং জানান, ‘কেষ্ট দার মধ্যে একটা চমক আছে৷ তাঁর ঝাঁঝালো বক্তব্য ভীষণ আকৃষ্ট করে মানুষকে। ওনার বহু বক্তব্য ভাইরাল। এখানে ওনার ডায়লগ সবাই বলতে শুরু করেছেন। তাই দিদি ও অভিষেকের পাশাপাশি আমাদের আবদার থাকবে অনুব্রত মণ্ডলকে ত্রিপুরায় নিয়ে আসা।’
চড়াম–চড়াম ঢাক বাজাবে, গুড়–বাতাসা খাওয়ানো হবে, পাচনের বারি দেওয়া হবে, ভয়ঙ্কর খেলা হবে থেকে তিন–চারশো কাপ জিতব–সবই ভাইরাল হয়েছে। তাই ত্রিপুরা জুড়ে ব্যাপক অনুগামী তৈরি হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। তাই কলকাতায় এসে মমতা–অভিষেককে আমন্ত্রণের পাশাপাশি তাঁরা আবেদন জানাতে চান, অনুব্রত মণ্ডলকে ত্রিপুরায় পাঠানোর জন্যে। ২১ জুলাই সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শোনাতে গিয়ে বড় বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল ঘাসফুল শিবিরকে। অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য তাঁদের উজ্জীবিত করবে বলেই এই আবদার করা হচ্ছে।