‘ফাইনাল’-এর আগে বিজেপির অন্দরের ‘গোষ্ঠীকোন্দল’ নিয়ে হাওয়ায় বিভিন্ন খবর ভাসছে। তাতে অবশ্য পাত্তা দিতে রাজি নন তথাগত রায়। সাফ জানিয়ে দিলেন, গণতান্ত্রিক দলে ‘বিভাজন’ হতেই পারে, তাতে অস্বাভাবিক কিছু নেই।
রবিবার বিকেল কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মেঘালয়ের সদ্য প্রাক্তন রাজ্যপাল। তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বিমানবন্দরের বাইরে হাজির ছিলেন বিজেপির নেতা-সমর্থকরা। করোনাভাইরাস সুরক্ষাবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই জমায়েত করেছিলেন তাঁরা। সেই সমর্থকদের সামনেই নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের প্রসঙ্গে তথাগত বলেন, 'এই তো সবে এলাম, পাঁচ মিনিট হল কলকাতায় পৌঁছেছি। তারপর বাড়িতে গুছিয়ে বসে রাজ্য সভাপতির (দিলীপ ঘোষ) অনুুমোদিত কোনও জায়গায় গিয়ে যোগাযোগ করব। আশা করছি দু'তিনদিনের মধ্যেই আমি (বিজেপিতে) যোগ দিয়ে দেব। (বিজেপির) ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। ২০২১ সালে তৃণমূলকে উৎখাত করে সরকার গড়বে বিজেপি।'
কিন্তু আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য বিজেপিতে 'কোন্দল' নিয়ে বিভিন্ন খবর ছড়িয়েছে তো। তারইমধ্যে তিনি দলে যোগ দেওয়ায় দলের অন্দরে যুযুধান পক্ষের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে অভিমত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। সেই 'কোন্দল'-এর খবরে অবশ্য বিচলিত নন তথাগত। তাঁর বক্তব্য, গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত দলে ‘বিভাজন’ থাকবেই। সেই বিতর্ক ছাড়া দলে গণতন্ত্র থাকবে না। একইসঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে তথাগতের বক্তব্য, ‘আমরা রক্তপাতও করি না। একটি ব্যক্তিকে গুরু বলে মানি না।’
যদিও তথাগতকে পালটা নৈতিকতার প্রশ্নে বিঁধেছে তৃণমূল। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বক্তব্য, ‘তথাগত রায় কী বলেন, কী করেন, তা উনি নিজেই বোঝেন না। উনি কী ছিলেন। কী করতে আসছেন, তা ওনার বোঝা উচিত। আমি রাজ্যপাল ছিলাম। আমি রাজনীতি করতে আসছি। এটা নীতি-নৈতিকতার প্রশ্ন। আর কিছু নয়।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ২০২১ সালে বাংলা ক্ষমতায় আসার যে স্বপ্ন দেখছে বিজেপি, তা না দেখাই ভালো। বিজেপির ২০৫৬ সালের স্বপ্ন দেখা উচিত বলে আক্রমণ শানান জ্যোতিপ্রিয়।