স্বয়ং মেয়রের ওয়ার্ডেই ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া প্রবণতা বেশি। কলকাতা পুরনিগমের বৈঠকে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেল। গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে অগস্টের শুরু পর্যন্ত প্রায় সাতজন ডেঙ্গ আক্রান্ত হয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ড, অর্থাৎ ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগ মোকাবিলা ইস্যুতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছিলেন শনিবার। সেই বৈঠকেই স্বাস্থ্য বিভাগের এই রিপোর্ট পেশ করা হয়। মেয়রের ওয়ার্ড বাদে আরও ১২টি ওয়ার্ড ডেঙ্গু প্রবণ বলে চিহ্নিত হয়েছে সেই রিপোর্টে।
জানা গিয়েছে ৬, ২৬, ৫৩, ৫৯, ৬৯, ৭৪, ৮২, ৮৩, ৯৩, ৯৪, ১১২, ১১৭, ১২১ ওয়ার্ডগুলিকে ডেঙ্গু প্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ওয়ার্ডগুলিতে পাঁচজনের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। এদিকে শুধু ডেঙ্গু নয়, মেয়রের ওয়ার্ড ম্যালেরিয়া প্রবণও বটে। মোট ৩৫টি ওয়ার্ডকে ম্যালেরিয়া প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ম্যালেরিয়া প্রবণ ওয়ার্ডগুলি হল - ৭, ২১, ২৩, ২৫, ২৬, ৩৭, ৩৯, ৪৩, ৪৪, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৫, ৫৯, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯, ৭১, ৮১, ৮২, ৮৪, ৮৫, ৮৬, ৮৮। এই ওয়ার্ডগুলির প্রত্যেকটিতে ৩০ জনের বেশি ম্যালেরিয়া আক্রান্ত।
জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যে সব রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছর এখনও পর্যন্ত মোট ২২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায়। ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৭২। তবে এ শুধু সরকারি হিসেব। জানা গিয়েছে, বেসরকারি ল্যাবগুলি থেকে অনেক তথ্য পৌঁছচ্ছে না কলকাতা পুরনিগমের হাতে। এই আবহে আসল সংখ্যা অনুমান করা কিছুটা কঠিন। তবে প্রকোপ যে বেড়েছে, তাতে সংশয় নেই। আর তাই মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে পুরনিগম।