এখনও সেভাবে শীত পড়েনি। তবে পারদ কমতে শুরু করেছে। আর ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থা দেখা গিয়েছে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায়। এখানে আজ পর্যন্ত ৫৬ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাতেই শোরগোল এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে আজ, বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। কেন ডেঙ্গি বাড়ছে? তা নিয়ে চলবে বিস্তারিত আলোচনা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই এলাকায় পুরসভার জঞ্জাল বিভাগ তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে না। তাই অপরিষ্কার থাকছে রাস্তাঘাট থেকে জলাশয়। খাল ও জলাশয়গুলির সংস্কার হচ্ছে না। তাই বংশবৃদ্ধি করছে মশা। পুরসভার অবশ্য সাফাই, খালগুলিতে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। কিন্তু কেন ডেঙ্গি বাড়ছে তা বোঝা যাচ্ছে না। পুরকর্মীরা দেখেছেন, একটি ফ্ল্যাটে ফুলের টবে জমে আছে জল। কোনও বাড়ির চৌবাচ্চায় জল রয়েছে। সেখানে মিলেছে লার্ভা।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্যদের সঙ্গে পুরসভার বক্তব্যের সংঘাত তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে বাসিন্দাদের বক্তব্য, ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের সময়ে এখানে নিয়মিত জীবাণুনাশের কাজ চলেছিল। তাই তখন ডেঙ্গির প্রকোপ ততটা দেখা যায়নি। কিন্তু এবার তা করা হয়নি বলেই ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েছে। পুরসভা এই কথা মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, এবারও এলাকার নানা জায়গায় গিয়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। জলাশয় পরিষ্কার করা হয়েছে। যাঁরা সেগুলি দেখেননি তাঁরা এমন অভিযোগ করছেন। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সবই যদি হয়েই থাকে, তাহলে এই অবস্থা কেন? এই প্রশ্ন উঠতেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার মুখ্য প্রশাসকের দাবি, ‘এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। মূলত ছ’টি ওয়ার্ডে পাঁচজনের বেশি ডেঙ্গিতে সংক্রমিত হয়েছেন। মশার প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ চিহ্নিত করে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ, সচেতনতার প্রচার, এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা–সহ মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ নিয়মিত চলছে।’