ডেঙ্গিতে কলকাতায় মৃত্যু হল ১৪ বছরের কিশোরীর। বুধবার গভীর রাতে হালতুর বাসিন্দা ভার্গবী মণ্ডল নামে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছিল সে। অভিযোগ, হাসপাতালে বেড না থাকায় গত সোমবার তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও ফিরে আসেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, আর পর কিশোরীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।
নিহত কিশোরীর পরিবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে জ্বরে ভুগছিল সে। সেদিন টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার পথে তার মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। এর পর তাকে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ানো হয় কয়েকদিন। তাতে হিতে বিপরীত হয়। জ্বর আরও বাড়তে থাকে। শনিবার ভার্গবীর দেহের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়। এর পর তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ে ডেঙ্গি। রবিবার রিপোর্ট হাতে পেয়ে কিশোরীকে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যান পরিজনরা। অভিযোগ, সেখানে বেড না থাকায় আউটডোরে ওষুধপত্র দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এখানেই শেষ নয়, মেয়ের অবস্থা খারাপ হতে থাকায় সোমবার ফের বাঙুর হাতপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তখনও জানানো হয় বেড নেই। এর পর অনেক ধরে করে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার।
বাঙুর হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই ভার্গবীর একের পর এক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হতে শুরু করে। বুধবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃতের পরিবারের দাবি, শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করা গেলে মেয়েকে বাঁচানো যেত। ওদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিন দিন পর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ফলে আর কিছু করার ছিল না।