করোনার দাপট একটু কমেছে। কিন্তু পুজোর মুখে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। এদিকে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে ডেঙ্গি প্রবণ এলাকায় থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের পুজোর ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। এর সঙ্গে এলাকায় কারোর জ্বর হয়েছে কি না এটা চিহ্নিত করাটাই সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেকারণেই এবার ঠিক হয়েছে, কেউ দোকানে প্যারাসিটামল কিনতে এলে, বিশেষত জ্বরের জন্য, তখন সেই ক্রেতার নাম ঠিকানা জেনে নেবেন দোকানদার। ডেঙ্গিপ্রবণ জেলায় সেই নাম ঠিকানা প্রশাসনের কাছে জানাতে হবে। এব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী নভেম্বর পর্যন্ত বাংলায় ডেঙ্গির দাপট থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্য়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪ হাজার ২২৪। এদিকে কোথাও মশার আঁতুরঘর তৈরি হয়েছে কি না সেব্যাপারে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। এমনকী পুজোর সময় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায় সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে সরকার। সেকারণে সরকার জেনে নিতে চাইছে কোথাও কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন কিনা! তারই নিরিখে জ্বর এলে প্যারাসিটামল কিনতে এলেই সে সম্পর্কে তথ্য জানতে চাইছে সরকার।