যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আরও একটি চেষ্টা বানচাল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট জানাল, ২০২২ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগদানকারীর ডিএলএড যোগ্যতা থাকলেই তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য বৈধ বলে বিবেচিত হবেন। ফর্মে তিনি কোন যোগ্যতার উল্লেখ করেছেন তা এক্ষেত্রে ধর্তব্যযোগ্য নয়। যার ফলে কয়েক হাজার প্রার্থী যারা ফর্মে বিএড যোগ্যতার উল্লেখ করেছিলেন তারাও ২০২২ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বৈধ বলে বিবেচিত হতে চলেছেন।
আরও পড়ুন - এবার নজরে ২০১৭ প্রাথমিক টেট, সমস্ত OMR শিট আদালতে পেশের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
পড়তে থাকুন - মাগুর মাছ চাষ করতে তৈরি করেছিলেন সুড়ঙ্গ, নতুন তত্ত্ব খাড়া করল সাদ্দাম সরদার
২০২২ সালের প্রাথমিকের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি যখন প্রকাশিত হয় তখন বিএড ডিগ্রি প্রাথমিকে শিক্ষকতার জন্য বৈধ কি না তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছিল। তারই মধ্যে বহু চাকরি প্রার্থী ফর্মে নিজেদের সর্বোচ্চ যোগ্যতা বিএড বলে উল্লেখ করেন। ২০২৩ সালে সেই মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায় প্রাথমিকে শিক্ষকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ডিএলএড যোগ্যতা বৈধ। এর পরই জটিলতার শুরু। ফর্মে যারা সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে বিএড উল্লেখ করেছিলেন কিন্তু ডিএলএড যোগ্যতাধারী তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। পালটা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বঞ্চিতরা। কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, ফর্মে কী লেখা রয়েছে সেটার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ওই ব্যক্তি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগে ডিএলএড যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছেন কি না।
হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ওই চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করতে পয়সা খরচ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। শুক্রবার সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফর্ম পূরণের সময় সেখানে প্রার্থীরা নিজেদের কোন যোগ্যতার উল্লেখ করেছেন তা ধর্তব্যযোগ্য নয়। নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর আগে সেই প্রার্থী ডিএলএড যোগ্যতা অর্জন করে থাকলেই সে যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন - দফতরের গা ছাড়া মনোভাবেই মানিকচকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, দাবি সাব স্টেশনের অপারেটরের
চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘এই রাজ্য সরকার যে শিক্ষিত যুবক – যুবতীদের শত্রু তা ফের একবার প্রমাণিত হল। যাদের যোগ্যতা রয়েছে তাদের প্রক্রিয়াগত কারণ দেখিয়ে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছিল রাজ্য সরকার। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট তাদের সেই চেষ্টা বানচাল করে দিয়েছে। যোগ্যতা থাকলেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।’