একসময়ে সিঙ্গুরে অনিচ্ছুক কৃষকদের দাবি সামনে এনে আন্দোলন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলার মসনদে বসেছিলেন মমতা। এরপর এক দশকেরও বেশি সময় পার হয়েছে। রাজ্যে শিল্প আনতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে দেউচা পাঁচামিতে কয়লা খনি করতে নীল নকশা এঁকেছিলেন তিনি। তবে এরই মাঝে ফিরে এসেছে সিঙ্গুরের স্মৃতি। স্থানীয়দের অনেকেই কয়লা খনির জন্য জমি দিতে নারাজ। এই আবহে কয়লা খনির করার বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছে প্রতিরোধ, আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে বরফ গলাতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিজে নবান্নে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসা আন্দোলনকারী সংগঠনের নেতা দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী জানান যে দেউচার মানুষ যদি খনি না চায়, তাহলে সেখানে রাজ্য জমি নেবে না, খনি হবে না। যদিও এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীরা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসবাণীতে তাঁরা স্বস্তিতে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, দেউচায় আমাদের পিতৃপুরুষের ভিটে। জল, জঙ্গল নিয়ে আমাদের জীবন সেখানে। তাই কেউ চায় না যে সেখানে কয়লা খনি হোক।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলকারীরা দাবি জানান যাতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ‘মিথ্যে মামলা’ প্রত্যাহার করা হয়। এদিকে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। দেউচায় ফইরে গিয়ে সেই পরিকল্পনার বিষয়ে আন্দোলকারীরা জানাবেন বাকিদের। আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়েও আলোচনা করা হবে স্থানীয়দের সঙ্গে। মহাসভার সব সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করেই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।