দিঘাতে রাজ্য সরকার যে বিরাট কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে সেটা জগন্নাথ মন্দির নাকি জগন্নাথ ধাম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র? সেই প্রশ্ন আগেই তুলেছিল বিজেপি। এবার একেবারে নথি দেখিয়ে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে বিরাট চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই প্রসঙ্গে সরকারি একটি টেন্ডার নোটিশের কপিকে তুলে ধরেছেন।
শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আমি বার বার উল্লেখ করছি পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিঘাতে জগন্নাথ ধাম সংস্কৃতি কেন্দ্র তৈরি করছে। আমার দাবির স্বপক্ষে সরকারি টেন্ডার নোটিশের একটি কপি দিলাম।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে চাপে রয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেকারণে তিনি জগন্নাথ ধাম সংস্কৃতি কেন্দ্রকে জগন্নাথ মন্দির হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন। কারণ পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু ভোটারদের তিনি চাইছেন যারা তৃণমূলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন কারণ বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে তাঁদের নরম মনোভাবের জেরে আর তোষামোদের রাজনীতিতে ভারসাম্যের খেলার জন্য। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চ্যালেঞ্জ করছি ভ্রম সংশোধন করে জগন্নাথ ধাম সংস্কৃতি কেন্দ্রকে জগন্নাথ মন্দির বলে ঘোষণা করুন যদি সৎ হয়ে থাকেন।
এরপর তিনি ৭ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি টেন্ডার নোটিশের কপি সামনে এনেছেন। সেখানে লেখা জগন্নাথ ধাম সংস্কৃতি কেন্দ্র। এই কপি দেখিয়ে শুভেন্দুর দাবি, আমি তো বার বারই এটা বলেছি।
দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে গোটা রাজ্য জুড়েই চর্চা। মুখ্যমন্ত্রী একে জগন্নাথ মন্দির বলেই উল্লেখ করেছিলেন। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘খাজা পুরীর একটা বিশেষত্ব। বাংলারও তেমন বিশেষ কিছু জনপ্রিয় মিষ্টি রয়েছে। গজা, ক্ষীরের গজা, গুজিয়া অথবা কালীঘাটের প্যারা। এই সমস্ত কিছুই দিঘায় পাবেন পর্যটকরা। আর তা পেয়ে খুশি হবেন পর্যটকরা। মিষ্টি খেতে কে না ভালবাসে।’
এর আগে গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি শুভেন্দু অধিকারী একটা পোস্ট করেছিলেন। সেখানে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, দিঘাতে আপনারা জানেন তো পুরীর জগন্নাথ মন্দির যত বড় তত বড় মন্দির তৈরি হচ্ছে। কী দেখেছেন! যাবেন কিন্তু যেদিন উদ্বোধন হবে। আমরা নন কমপ্লিট করি না…অসম্পূর্ণ করি না। রাজনীতিতে ছবি তোলার জন্য। আমাদের ঠাকুরও এসে গেছে। কিন্তু যেহেতু ভোট। আমি এখন করব না। কিছু কাজ বাকি রয়েছে। ইলেকশনের পরে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে দেখাব, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের থেকেও এটা আরও বড় মন্দির হয়েছে। এবং তার ভোগঘর থেকে শুরু করে সব কিছু। বলছেন মমতা। পোস্ট করেছিলেন শুভেন্দু। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।