এবার দিঘা যাওয়ার সময় আরও কমতে পারে। অর্থাৎ যারা সড়কপথে দিঘা যেতে তাঁদের জন্য এবার সময় আরও কম লাগবে। এবার দিঘা যাওয়ার জন্য় বাইপাস তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সূত্রের খবর, দিঘা, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতার মধ্যে সব মিলিয়ে চারটি বাইপাস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই চারটি বাইপাস তৈরি হয়ে গেলে দিঘা ও কলকাতার মধ্যে দূরত্ব অনেকটাই কমবে। এর ফলে কলকাতা থেকে যারা দিঘা সড়কপথে যারা যেতে চান তাঁদের যাত্রা আরও সহজতর ও কম সময়ের হবে।
সব মিলিয়ে এজন্য় ৮৫০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। পরবর্তীতে এই খরচ বাড়তেও পারে। দেওয়ালির পরেই এই বাইপাস তৈরির কাজ শুরু হতে পারে। নন্দকুমার থেকে দিঘা পর্যন্ত এই বাইপাস হবে। এই জায়গাটির দূরত্ব প্রায় ৯০ কিমি। হেড়িয়া, কলিঙ্গনগর কালী মন্দির, কন্টাই ও আলমপুর ও ফতেপুরের মধ্য়ে রামনগর রোডের মধ্যে এই বাইপাস হতে পারে।
এই বাইপাস তৈরি হলে সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি পর্যটকদের বিরাট সুবিধা হবে। অর্থাৎ সকালবেলা দিঘা থেকে বেরিয়ে অনেকেই অফিসে চলে আসতে পারবেন। অর্থাৎ শনি ও রবিবার দিঘাতে কাটিয়ে পরের দিন সকালবেলা দিঘা থেকে বেরিয়ে তাঁরা অফিস ধরে নিতে পারবেন। এতটাই সহজ হয়ে যাবে রাস্তা। অন্তত ১ ঘণ্টা রাস্তা কমে যেতে পারে এই বাইপাসের ফলে।
এর জেরে কলকাতা থেকে দিঘা যাওয়ার প্রবণতা আরও বাড়বে। এদিকে বর্তমানে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে। বিরাট মন্দির। সেই মন্দিরের কাজ পুরোদমে চলছে। বিরাট জায়গার উপর তৈরি হচ্ছে এই মন্দির। এই মন্দিরকে ঘিরেও বিরাট জনসমাগম হবে আগামী দিনে। অর্থাৎ দিঘাতে গিয়ে এবার পর্যটকরা একটা দিন জগন্নাথ মন্দির দর্শনের জন্য বরাদ্দ রাখবেন। সেক্ষেত্রে দিঘাতে এবার হোটেল ব্যবসা আরও উন্নতি লাভ করতে পারে।
এতদিন দিঘাতে স্নান করার জন্যই মূলত আসতেন পর্যটকরা। এবার তাঁরা দিঘাতে জগন্নাথ মন্দির দর্শনেও আসবেন। তবে এবার সড়কপথের দূরত্বও কমতে পারে। খবর ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডেক্স সূত্রে। তবে অনেকেরই দাবি, দিঘা ও কলকাতার মধ্য়ে বন্দে ভারত জাতীয় ট্রেন চালানোটা দরকার। এর জেরে পর্যটকদের সংখ্য়া আরও বাড়বে। আরও পর্যটক দিঘাতে যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেখাবেন। তবে এই বাইপাস তৈরির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।