আজ ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী। সেই উপলক্ষে দেশজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আর এরইমধ্যে নেতাজির জন্মদিবস নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী এনিয়ে একে অপরকে আক্রমণ-পালটা আক্রমণ করেছেন। নেতাজির জন্মজয়ন্তী নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কোনও সরকারই নেতাজীকে যথাযথ মর্যাদা দেননি। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতাজিকে যথাযথ মর্যাদা দিয়েছেন।’ দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘ভারতের স্বাধীনতার মূল স্থপতি ছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। তবে দুঃখের বিষয় একটাই, কোনও সরকারই তাঁকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়নি। শুধুমাত্র তাঁর নাম ব্যবহার করেছে। একমাত্র বিজেপি সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতাজিকে মর্যাদা দিয়েছেন। গোটা দেশের মানুষ তা দেখতে পাচ্ছে।’ শুধু দিলীপ ঘোষই নয়, শুভেন্দু অধিকারীও নেতাজির জন্ম দিবস নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন। তিনি একইভাবে বলেন, ‘এর আগে যারা সরকারে এসেছেন তারা নেতাজিকে যথাযথ মর্যাদা দেয়নি।প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নেতাজিকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের।’ এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকারের সকলেই ঘুমায়। ১২টার পর রাজ্য সরকারের ঘুম ভাঙে। এখনও ঘুমোচ্ছে।’
পালটা এ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বিজেপির কোনও আইকন নেই তাই নেতাজির ভাবধারায় বিশ্বাস না রেখেও ওরা নিজেদের প্রচার চালিয়ে বেড়াচ্ছে।’ অন্যদিকে, শ্যামাপ্রসাদের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে নিশানা করেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘শ্যামাপ্রসাদ নিজেই মন্ত্রিসভায় ফজলুল হকের প্রসঙ্গে বলেছিলেন উনি মুসলিম সম্প্রদায়িক আর আমি হিন্দু সম্প্রদায়িক। নেতাজি তাঁকে সমর্থন করতেন না।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup