নিজের ব্যর্থতার দায় এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করোনা নিয়ে বৈঠকে বক্তব্য রাখার সুযোগ না পাওয়ায় তিনি অপমানিত বলে মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা দিলীপের প্রশ্ন, গত কয়েকমাসে যে বৈঠকগুলিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সেগুলিতে হাজির হননি কেন?
এদিন ফের রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন দিলীপবাবু। বলেন, ‘গতবছর প্রধানমন্ত্রী যখন করোনা নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী দিল্লি দাঙ্গার ঘটনা ধামাপাচা দিতে এসব বলছেন। তার পর প্রধানমন্ত্রীর ডাকা কোনও বৈঠকে হাজির থাকেননি।’
দিলীপবাবুর দাবি, কেন্দ্র রাজ্যকে যে টিকা দিয়েছে তার প্রায় ১০ লক্ষ টিকা এখনো ব্যবহার করতে পারেনি রাজ্য। উলটে টিকা চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আরও টিকার আবেদন করছে তারা। দিলীপবাবু বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে টিকা কেনার ছাড়পত্র দিয়েছে। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী গ্লোবাল টেন্ডার ডেকে টিকা কিনছেন না কেন? বিজেপিশাসিত একাধিক রাজ্যে এভাবে টিকা কিনেছে।
রাজ্যের অক্সিজেনের দাবি নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘রাজ্যের ছোটছোট বিভিন্ন কারখানায় অক্সিজেন তৈরি হয়। সেই অক্সিজেন এখন কালোবাজারে মোটা টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজ্য সরকার সেই কারখানাগুলোর সঙ্গে কথা বলে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে পারত। কিন্তু তারা তা করেনি। করোনার যাবতীয় ওষুধ ও সরঞ্জাম দোকানে না পাওয়া গেলেও কালোবাজারে পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের ব্যর্থতাতেই এটা হচ্ছে।’
দিলীপবাবুর অভিযোগ, আসলে নিজের ব্যর্থতার দায় অন্যের ওপর চাপাতে এসব বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনার টিকাকরণ যখন শুরু হয়েছিল তখন মানুষকে টিকা নিতে উৎসাহিত করেননি। ওটা মোদীর টিকা বলে কটাক্ষ করেছিলেন। মার্চ মাসে মোদীজি টিকা নেওয়ার পর মানুষ টিকা নিতে শুরু করেছে। করোনা ফিরে আসবে জানলে উনি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা কমালেন কেন?