রাজ্যে আসছেন নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি নবান্নে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একদিকে নয়াদিল্লির আমলাদের এবং ক্ষমতা কৌশলে হাতে নিতে চাইছে মোদী সরকার। তার জন্য জারি হয়েছে অর্ডিন্যান্স। অন্যদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতেও কথা হতে পারে দু’পক্ষের মধ্যে। বিরোধী ঐক্য তৈরি করে মোদী সরকারকে হঠানোই এখন বিরোধীদের একমাত্র লক্ষ্য। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে এবার কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খোঁচা দেন মমতা–কেজরির বৈঠক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘গতবার একই ঘটনা ঘটেছিল। মোদীর সামনে কে যাবেন? কেউ যেতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে। গতবার মমতা লাফালাফি করেছিলেন। সবাইকে মাছ ভাত খাইয়েছিলেন। তারপর তো ওনার ১২টা সিট কমে গিয়েছিল। তাই উনি এবার রাজি হচ্ছেন না। একটু হাওয়া দিলেই উনি অনেক সময় রাজি হয়ে যান। তাই একেকজন এসে হাওয়া দিচ্ছে। বলছে, দিদি আপনি রাজি হয়ে যান। ওনাকে আসরে নামানোর চেষ্টা চলছে। কেবল ওনাকে রাজি করাতে একেক সময়ে একেক জন কলকাতায় আসছে। কিন্তু উনি জেনে গিয়েছেন, মোদীর সামনে গেলে হাওয়া খারাপ হয়ে যাবে।’
এগরার সভা নিয়ে পোস্টার বদল হল কেন? অন্যদিকে এই প্রশ্ন শুনে সাফাই দিয়েছেন মেদিনীপুরের সাংসদ। দিলীপ ঘোষের সাফাই, ‘আমাকে আহ্বান করা হয়েছিল। কারণ আমার লোকসভা এলাকা। তাই হয়তো সাংসদ হিসেবে আমার ছবি ছেপেছে। কারা ছেপেছে, তাও জানি না। ওটা সাংগঠনিকভাবে কাঁথি জেলা। কিন্তু এগরা বিধানসভা আমার সাংসদ এলাকার মধ্যে পড়ে। আমি ওই গ্রামে একবার ঘুরে এসেছি। যারা পোস্টার লাগিয়েছে, তারাই বাকিটা বলতে পারবে। আমার আজ দুই জেলায় দলীয় বৈঠক আছে।’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমি ৩৬, উনি ৭২। এটা যেন ভুলে না যান। আপনি কী বলবেন? দিলীপ ঘোষ শুনে ক্ষুব্ধ হন। আর বলেন, ‘৩৬ বছরেই যদি কেউ এতো দুর্নীতি করে, ৭২ বয়সে গিয়ে কি করবে? মোদী ৫০ বছর ধরে সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে আছেন। তাঁকে যাঁরা কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিল, তারাই আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। উনি যেন ভুলে না যান, মোদী–শাহকে ফাঁসাতে কেস গুজরাট থেকে তুলে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁরা সেখানেও গিয়েছেন। কেউ রাস্তা অবরোধ করেনি। কেউ কোর্টের বিরুদ্ধে যায়নি। কেউ সরকারকে গালাগাল দেয়নি। আমরা আগুনের থেকে সোনা চকচকে হয়ে বেরিয়ে আসার মতো কোর্টে নির্দোষ প্রমাণ হয়ে বেরিয়ে এসেছি।’