অনুব্রতকে ‘বীরভূমের বাঘ’ বলায় ফিরহাদকে পালটা আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। শনিবার দলের রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘অনুব্রত হয়তো ভাবছেন ওজন আরেকটু কম হলে ফুটো দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। সেটা মনে হয় সম্ভব নয়। ’
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘বাঘ এতদিন বাঁশের খাঁচায় থাকত এখন লোহার খাঁচায় ঢুকেছে। খাঁচার চাবি কার কাছে রয়েছে সেটা এখন খোঁজা হচ্ছে। ৯ কিলো মাত্র ওজন কমেছে। উনি হয়তো ভাবছেন আরেকটু কম হলে ফুটো দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন। সেটা মনে হয় সম্ভব নয়’।
অনুব্রতর লটারি তদন্ত নিয়েও এদিন মুখ খোলেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের কেলেঙ্কারি দ্বারা বহু মানুষ পীড়িত। কিন্তু মানুষ ভয়ে বলতে পারছে না। বললে ভয় দেখাচ্ছে, বাড়িতে মা - বোন আছে..। তাই টাকা পয়সা ক্ষতি করেও তারা চুপ করে ছিলেন। কিন্তু ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। আজ একটার পর একটা কেলেঙ্কারি বেরোচ্ছে। এবং একটার সঙ্গে একটা যুক্ত রয়েছে। তাতে অনুব্রতর মতো লোকেরা হল কিং পিন'।
তিনি বলেন, 'তাই যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব কাছের লোক। তাই তাদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে। ওই চাবিটা যদি চলে যায় তাহলে সব তালা একসঙ্গে খুলে যাবে। তখন বাঁচানো মুশকিল হয়ে যাবে। কোনও কোর্টে বাঁচানো যাবে না। তাই যে করে হোক অনুব্রতকে বাঁচাও। কিন্তু বাঁচবে কী করে? তার চ্যালা - চামুণ্ডা, ছেলে - মেয়ে সব তো লুঠ করে বসে আছে। কালো টাকাকে সাদা করার মাধ্যম হল লটারি। তাই লটারির সব প্রথম পুরস্কার তৃণমূল নেতারা পেয়ে যাচ্ছেন। এখাতে ৪৩টা লটারি চলছে তার প্রথম পুরস্কার নেতারা পাচ্ছেন। সেই রহস্য এখন ফাঁস করার চেষ্টা করছে সিবিআই’।