তাঁকে গুন্ডা বলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পালটা আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার সকালে এক চা চক্রে যোগ দিয়ে প্রথমে একদফা অভিষেকবাবুকে বেঁধেন তিনি। পরে দমদমে এক দলীয় কর্মসূচিতে ফের অভিষেককে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ।
এদিন সকালে দিলীপবাবু বলেন, ‘উনি সাত কোটি টাকার বাড়িতে থাকেন আর আমি লোকের বাড়িতে থাকি। কে মাফিয়া বোঝা যাচ্ছে। ওনার কনভয়ে ২৫টা গাড়ি থাকে। আর কী কী থাকে সবাই জানে। কে মাফিয়া এটা বোঝাই যাচ্ছে। দিল্লিতে লোকে যুবরাজকে পাপ্পু বলে। পাপ্পু বললে ভাল হবে?’
ফের ‘ভাইপো’ প্রসঙ্গ তুলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি ভাইপো বলছি না। আমি বলছি খোকাবাবু। কোলে চড়ে উনি রাজনীতিতে এসেছেন। এখনো কোলেই আছেন। লড়ুন। যে লোকেরা তার পার্টির জন্য প্রাণ দিল, রক্ত দিল, ঘাম দিল তারা আজ ব্রাত্য হয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাত জোড় করে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকছে। আর উনি কোলে চড়ে রাজনীতিতে এসে MP হয়ে গেলেন’।
রাজ্য বিজেপির সভাপতির অভিযোগ, ‘প্রাইভেট প্রপার্টি বানানো হয়েছে। পুরো কালীঘাট ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। লোককে ওখান থেকে উজাড় করে দেওয়া হয়েছে। লোকের জমি জায়গা বাড়ি দখল করা হয়েছে। আর আমি হয়ে গেলাম মস্তান, আমি মাফিয়া, আমি গুন্ডা’?
এর পরই হুঙ্কার ছাড়েন, ‘আমি সাধারণ মানুষের ওপর যে অত্যাচার হচ্ছে তার বিরুদ্ধে গুন্ডামি করছি। সবে তো শুরু করেছি।
এর পর দমদমের হনুমানমন্দিরে এক দলীয় সভায় দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘গুন্ডামির দেখেছেন কী? অনেক দেখতে হবে এখনো। পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল পর্যন্ত সব জায়গায় গুন্ডামির নমুনা দেখাবো আমরা। আপনাদের গুন্ডামি আমরা দেখেছি। ইঞ্চি সাইজের, ফুট সাইজের নেতারা যা চমকায় সবাইকে সেই তুলনায় আমরা তো কিছুই না। পিছনে পুলিশ আছে বলে’।
জবাবে তৃণমূলের মুখপাত্র সৌগত রায়ের কটাক্ষ, ‘দিলীপবাবুর সকালের দিকে মাথাটা একটু গন্ডগোল থাকে। তখন এসব কথা বলেন। উনি আরএসএসের লোক। রাজনীতির কী বোঝেন। হাফ প্যান্ট পরে কুচকাওয়াজ করা, লাঠি খেলা, ছোরা খেলা এসব আরএসএসের কাজ’।
সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘উনি যদি গুন্ডামি করেন তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আর উনি যদি সেই সীমাও ছাড়িয়ে যান তাহলে তৃণমূলের কর্মীরা তৈরি আছেন’।