দলের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরলেও এখনো সংগঠনের একাংশের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতে। কথায় কথায় ঠুকছেন নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও তাঁর পারিষদদের। যার জেরে বারবার অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে। এহেন দিলীপের হাত থেকে নিস্তার পেতেই কি এবার তাঁকে ভিনরাজ্যে চালান করে দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? এমনই গুঞ্জন বিজেপির অন্দরে।
গত বছর রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরার কিছুদিনের মধ্যেই দিলীপ ঘোষকে দলের সহ সভাপতি করে বিজেপি। কিন্তু তার পরও মূলত পশ্চিমবঙ্গেই ছিল তাঁর গতিবিধি। এর মধ্যে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দলের অন্দরে বিদ্রোহে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ঠোঁটকাটা দিলীপ দলের নবীন নেতৃত্বের ছোটখাটো ভুলত্রুটিতেও মুখ খুলছেন। যার ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে দলকে। তাঁকে এব্যাপারে সতর্ক করে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু কাজ হয়নি। অবশেষে তাঁকে ৮ রাজ্যে সংগঠন বৃদ্ধির দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হচ্ছে। যে খবর পৌঁছতেই কিছুটা স্বস্তিতে রাজ্য বিজেপির নেতারা।
বিজেপি সূত্রের খবর, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, আন্দামান, মণিপুর, মেঘালয়, অসম ও ত্রিপুরায় সংগঠন বৃদ্ধির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিলীপকে। তবে দিলীপ অনুগামীদের দাবি, তাঁর প্রোমোশন হয়েছে। তাঁদের দাবি, দলের কোনও কেন্দ্রীয় নেতাকে নিজের রাজ্যে দায়িত্ব দেওয়া হয় না। তাই দিলীপবাবুকে সর্বভারতীয় স্তরে নেতৃত্ব দিতে হলে রাজ্য ছাড়তেই হবে।
এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, দল আমার কাছে সবার আগে। দল যে দায়িত্ব দেবে পালন করব। রাজ্য বিজেপি ডাকলে হাজির হয়ে যাব।