মঞ্চ মোটামুটি তৈরি। বৃহস্পতিবার মিটবে কাগুজে কাজটুকু। তার পরই রাজ্য বিজেপি সভাপতির পদে ফের আসীন হবেন দিলীপ ঘোষ। তবে তা নিয়ে যদিও বেশি একটা উত্তেজনা নেই দিলীপবাবুর মধ্যে। দলের শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মীর মতো আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, সব কিছুই হবে দলের সংবিধান মেনে। দল ঠিক করবে আমাকে আরেকবার সভাপতির পদে বসানো যায় কি না।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘গতবার আমার সঙ্গে কথা না বলেই অমিত শাহ আমার নাম ঘোষণা করেছিলেন। ৩ বছর সময় দিয়েছিলেন। দলের সভাপতি হিসাবে সেরাটা করার চেষ্টা করেছি। তার পর আরও ১ বছর বোনাস পেয়েছি। এবার দল ঠিক করবে সংবিধান অনুসারে আমাকে আরেকবার সভাপতি করা যায় কি না।’
বুধবার দলের নির্বাচনী আধিকারিক কিরেন রিজিজুর কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন দিলীপবাবু। বলেছেন, আমাকে সই করতে বলেছিল, করে দিয়েছি। সবার মত নিয়ে সর্বসম্মতিতেই সভাপতি নির্বাচন হবে।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতে থাকা বিজেপি যে মাঝ পথে সভাপতি বদল করবে না তা নিয়ে কখনো কোনও দ্বিমত ছিল না। তাছাড়া সভাপতি হিসাবে দিলীপবাবুর জমানায় রাজ্যে লোকসভার ১৮টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। দলের সংগঠন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের কোনায় কোনায়।
সাফল্যের সঙ্গে ব্যর্থতাও রয়েছে দিলীপবাবুর খাতায়, সম্প্রতি বিধানসভা উপ নির্বাচনে ৩টি আসনেই হারতে হয়েছে বিজেপিকে। তাছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে সম্প্রতি যোগ হয়েছে তাঁর ‘কুত্তার মতো গুলি করে মারা উচিত’ মন্তব্য।
রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, দিলীপবাবুর নেতৃত্বেই ২০২১-এর রণনীতি সাজিয়েছে দল। ফলে ফিরছেন দিলীপই।