ঐশীর রক্ত আসল, না রং তার তদন্ত দাবি করায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মানসিক সুস্থতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে দিল সিপিআই(এম) (এল) লিবারেশন। এক বিবৃতিতে দলটির নেতা পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, ঐশীর রক্তের নয়, দিলীপ ঘোষের মাথা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। দিলীপ ঘোষের মানসিক বিকারগ্রস্ত বললেও আশাবাদী পার্থবাবু। দীর্ঘ চিকিৎসায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
রবিবার জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলা চালায় মুখ ঢাকা একদল দুষ্কৃতী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবরমতী হোস্টেলে ঢুকে ব্যাপক মারধর করা হয় পড়ুয়াদের। সঙ্গে চলে যথেচ্ছ ভাঙচুর। মারধর করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষকেও। মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
গুরুতর আহত ঐশীকে এইমসের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে গেলে তাঁর মাথায় ১৬টা সেলাই দিতে হয়। ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। বাম – কংগ্রেসের অভিযোগ, ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ছাত্রদের আন্দোলন বন্ধ করতেই রাতের অন্ধকারে পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে RSS-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। পরে অবশ্য ঘটনার দায় স্বীকার করে হিন্দু রক্ষা দল নামে অতি দক্ষিণপন্থী একটি ভুঁইফোড় সংগঠন।
তার পরও বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে JNU-তে হামলার ঘটনা সাজানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ঐশীর রক্ত আসল, না রং মেখেছিল তার তদন্ত দরকার। রক্ত আসল কি না তার পরীক্ষা তো এখনো হয়নি।’
দিলীপ ঘোষের বুধবারের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেছে সিপিআই(এম)(এল) লিবারেশন। তাতে দিলীপবাবুকে পালটা কটাক্ষ করে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ লিখেছেন, ‘নাগপুরের পাঠশালায় প্রশিক্ষিত আরএসএস স্বেচ্ছাসেবক দিলীপ ঘোষ কমিউনিস্টদের ওপর হামলাকে প্রকাশ্যে সমর্থন করবেন এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। আমাদের মনে হয় ঐশীর রক্ত নয়, পরীক্ষা প্রয়োজন দিলীপবাবুর মাথার। সময় লাগলেও সঠিক চিকিৎসায় তিনি সেরে উঠতে পারেন। নইলে উনি উন্মাদ হয়ে যেতে পারেন। আরেকজন সাংসদ উন্মাদ হোক তা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়।’
বিবৃতিতে দিলীপবাবু অপরাধ জগতের ভাষা ব্যবহারে পটু বলেও দাবি করেছে সিপিআই (এম)(এল)। সঙ্গে তাদের দাবি, দেশজুড়ে ছাত্রসমাজ যে ভাবে সরকারের বিরোধিতায় পথে নেমেছে তাতে ভয় পেয়েছে আরএসএস, বিজেপি ও তাদের শাখা সংগঠনগুলি। তাই গুন্ডামি করতে শুরু করেছে তারা।