বিধানসভা ভোটের আগে সুপরিকল্পিত ভাবে আরও কর্মসূচি গ্রহণ করবে বিজেপি। সময় বেঁধে দায়িত্ব দেওয়া হবে দলের নীচুতলার নেতাদের। সোমবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই জানালেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অমিত শাহের সফরের পর রাজ্যে বিজেপির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার বৈঠক শেষে নয়া দিল্লিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ছোট সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। অমিত শাহের রাজ্য সফরের পর যে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাকে সময় ধরে কী করে দলের জন্য কাজে লাগানো যায় তার পরিকল্পনা হয়েছে। দলের রণকৌশল যাঁরা তৈরি করেন তাঁরা সবাই বৈঠকে ছিলেন। বৈঠকে গৃহীত কর্মসূচি বুথ স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হবে।’
বিজেপি সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে দিলীপ ঘোষ ছাড়াও হাজির ছিলেন মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননরা। সেখানে দলের আগামী কর্মসূচি ও আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত হয়েছে।
গত সপ্তাহে ২ দিনের দক্ষিণবঙ্গ সফরে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীদের ২০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এসে সোনার বাংলা গড়বে বিজেপি। সঙ্গে এও বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল তাঁদের কাছে অন্যতম প্রাধাণ্য। অমিত শাহ রাজ্য ছাড়তেই রবিবার দিলীপকে দিল্লিতে তলব করেন নড্ডা। সোমবারই দিল্লি পৌঁছন দিলীপ ঘোষ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে দলের রণনীতি নির্ধারণের দায়িত্ব নিজেদের হাতে নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ঠিক যে পদ্ধতিতে অন্যান্য রাজ্যে ভোটে লড়ে তারা সাফল্য পেয়েছে, একই রণনীতি পশ্চিমবঙ্গেও প্রয়োগ করতে চলেছে তারা। আর তাই উৎসব মিটতেই ময়দানে ঝাঁপানোর জন্য হোমওয়ার্ক সেরে রাখছেন দিলীপরা।