বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে হাজির থাকবেন বলে জানালেও সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের দাবি, ওই বৈঠক ২ মাস আগে ডাকা উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ৬টা বৈঠক করে ফেললেন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী একটাও সর্বদল ডাকলেন না কেন?’
দিলীপবাবু বলেন, ‘আমরা বৈঠকে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জনগণের কল্যাণে সরকারকে যে পরামর্শ দেওয়া উচিত তা দেব।’ এর পরই সরকারের সমালোচনায় মুখর হন দিলীপ ঘোষ। বলেন, ‘বৈঠকটা অন্তত ২ মাস আগে করা উচিত ছিল। সমস্যা যখন হাতের বাইরে চলে গিয়েছে তখন মুখ্যমন্ত্রী সর্বদল ডাকছেন। তবে আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
এর পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তুলনা করে দিলীপ বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ৬ বার মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করতে পারলে পশ্চিমবঙ্গে কেন সর্বদলীয় বৈঠক হবে না?’
দিলীপের প্রশ্ন, ‘করোনা মোকাবিলায় সরকার কি আদৌ আন্তরিক?’
এই নিয়ে মঙ্গলবারও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন দিলীপ। বলেন, ‘কাল হঠাৎ সব দলকে ডেকেছেন। কেন ডেকেছেন জানি না। আমরা যাব। ১৮টা পেয়েছি বলে কদর বেড়েছে।’
বলে রাখি, পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বুধবার নবান্নে সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে ফোনে সেই বৈঠকে দিলীপ ঘোষকে আমন্ত্রণ জানান তিনি।