মুকুল রায়ের দলত্যাগ নিয়ে ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘আয়ারাম - গয়ারাম’-দের নিয়ে আমি চিন্তিত নই। বিজেপি মহাসাগরের মতো। এক বিন্দু জল কমে গেলে কিছু যায় আসে না।
শনিবার দলীয় দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপবাবু বলেন, ‘নির্বাচনের আগে হাজার হাজার লোক আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। তার মধ্যে দু-এক জনের সমস্যা হতে পারে। তাতে পার্টির কিছু যায় আসে না। তারা পার্টির নীতি-আদর্শ জেনেই যোগদান করেছিলেন’।
দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি একটা মহাসাগরের মতো। এক বিন্দু জল চলে যাওয়াটা আমাদের কাছে কিছুই না। আমরা গোটা দেশের কথা ভেবে কাজ করি। সারা ভারতবর্ষে বহু লোক পার্টিতে যোগদান করছেন। পশ্চিমবঙ্গে অনেকে ভেবেছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, ক্ষমতার সঙ্গে থাকবেন, হয়তো সেটা হয়নি বলে কারও কারও কষ্ট হচ্ছে। এতে পার্টির কিছু যায় আসে না’।
বিধানসভা নির্বাচনের পর ঝাড়াই বাছাইয়ের ভয়ে অনেকে দল ছাড়ছেন বলে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘যারা ঢেউয়েতে এসেছিল তারা ঢেউয়েতে যেতে পারেন। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগদানের একটা ঝড় উঠেছিল। অনেক লোক চলে এসেছিল। তারা কেন এসেছিল তারা চিন্তাভাবনা করুক। ঝড় উঠলে অনেক সময় ঠাকুরের মাথার ওপর ঘাস পাতা উঠে যায়। সেখানে তো তার জায়গা নয়। এখন নীচে নামিয়ে ঝাড়ু দেওয়া শুরু হয়েছে। নর্দমায় ফেলা হচ্ছে। তাতে হয়তো ভয় হচ্ছে অনেকের। যশ কেটে গেছে, জল পরিষ্কার হয়ে গেছে’।
সঙ্গে মুকুল রায়দের দলত্যাগে বিজেপির ওপর প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘যে সব কর্মীরা পরিশ্রম করে বিজেপিকে দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা এখনো বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। এখনো হাজার হাজার কর্মী ঘরছাড়া। অনেকে জেলে আছেন। তাঁদের সঙ্গে আমরা আছি। সেই কর্মীদের নিয়ে আমরা চিন্তিত। আয়ারাম-গয়ারামদের নিয়ে আমি চিন্তিত নই’।
বলে রাখি, শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়। সঙ্গে দলবদল করে মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশুও।