ভোটে আশানুরুপ ফল হয়নি বিজেপির। আর তার পর থেকেই পুরনো দলে ফেরার তোড়জোড় শুরু করেছেন দলবদলুদের অনেকে। শনিবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক সোনালি গুহ। টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। কিন্তু লাগাতার তৃণমূলে ফেরার প্রবণতায় মোটেও উদ্বিগ্ন নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, ‘এদের আসা যাওয়াতে কিছু যাবে আসবে না। দলের যারা প্রকৃত সৈনিক তারা সব সময় ময়দানে থাকেন।’ সঙ্গে এই সমস্ত ঘটনার জন্য দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দুষছে দলের রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ।
শারীরিক কারণে এবার সোনালিকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। প্রার্থীতালিকা ঘোষণার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় ফিরে বিধান পরিষদ গঠন করে এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে। কিন্তু তার পরেও টিকিট না পাওয়ায় দলবদল করেন দীপেন্দু বিশ্বাস, সোনালি গুহ, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মতো একাধিক বিদায়ী বিধায়ক। এর মধ্যে রবীন্দ্রনাথবাবুকে সিঙুর থেকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। বাকিদের কপালে সিকে ছেঁড়েনি।
বিজেপিতে যোগ দিয়ে সোনালি জানিয়েছিলেন, কিছু পেতে তিনি এখানে আসেননি। দল যা নির্দেশ দেবে সেই কাজই করবেন। তবে মাসখানেক ঘুরতে না ঘুরতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আঁচলের তলায়’ আশ্রয় চাইলেন তিনি।
সোনালির দলত্যাগ নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘অনেকে অনেক রকম উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিল। এখানে স্বার্থসিদ্ধি সম্ভব নয় বুঝে চলে যাচ্ছেন। লড়াই করতে ভয় পাচ্ছেন।’
বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের দাবি, রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা না করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বানের জলের মতো তৃণমূল থেকে নেতাদের দলে নেওয়ায় এই ঘটনা ঘটছে। দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা না করেই তৃণমূল থেকে বহু নেতাকে নেওয়া হয়েছে। ভোটের পরে তারাই দল ছাড়ছেন। ওদিকে ভোট মিটতে বাংলা ছেড়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারাও। নিজেদের রাজ্যে ফিরে গিয়েছেন তাঁরা। এমনকী তাঁদের অনেককে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও দাবি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের।