তামিলনাড়ুর চরিত্র পশ্চিমবঙ্গের মতোই। আইএএস আইনে সংশোধনী রুখতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনকে আক্রমণ শানাতে এভাবেই তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, এর আগে ট্যাবলো বিতর্ক নিয়েও বাংলার মতোই তামিলনাড়ুর তরফে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা হয়েছিল। বারংবার মমতার পথ অনুরণ করায় তাই স্ট্যালিনকে খোঁচা দিলেন দিলীপবাবু।
দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, ‘তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গ একই ক্যারেক্টার। সব কিছু থেকেই নিজেদের এরা আলাদা মনে করেন। টাকা ও সাহায্য চাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যান আর বাকি সময়ে মনে করেন তারা ভারতবর্ষের বাইরে সব বিষয় নিয়ে রাজনীতি করতে চান।’ উল্লেখ্য, প্রাথমিক ভাবে আইএএস নিয়মে বদল আনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মমতা। এরপরই একে একে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন, কেরলের পিনারাই বিজয়ন, রাজস্থানের অশোক গেহলটরা মোদীকে চিঠি লেখেন এই বদল না আনার আর্জি জানিয়ে।
এদিকে নেতাজি প্রসঙ্গ টেনে এনে এদিন মমতাকেও তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী ইতিহাস তৈরি করেন। মুখ্যমন্ত্রী ইতিহাস পড়েছেন কিনা জানা নেই। উনি তো গতকাল বলেন আইএনএ নাকি নেতাজি তৈরি করেছেন। তিনি বলেছিলেন রাজ্যে নেতাজি সৌধ বসবে। তাঁর নামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। কিন্তু মোদী করে দেখিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী শুধু নেতাজিকে নিয়ে রাজনীতি করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘নেতাজি ভক্তি তৃণমূলের পুরোটাই নাটক। যেখানে প্রধানমন্ত্রী গতকাল সব অনুষ্ঠান সকাল আটটায় করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী করলেন বেলা ১২টায়। বিধানসভায় আমাদের দলের সকলে গিয়েছেন নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে। তবে সেখানে তো মিডিয়ার প্রচার নেই তাই সেখানে তৃণমূলের কেউ যাননি।’
এরপর চলন্ত ট্রেনে মহিলা নিগ্রহ ও রবিবার চিৎপুরে অধ্যাপিকা নিগ্রহের ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এখানে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মহিলারা সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত। তাঁদের সম্মান ও রক্ষা সবার আগে করা উচিৎ। এই রাজ্যে শহরে গ্রামে গঞ্জে মহিলারা ও সাধারণ মানুষ আজ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন কারণ এই সরকারের দুষ্কৃতীদের ওপর কন্ট্রোল নেই।’