রাজ্যে করোনা প্রচণ্ড গতিতে ছড়াচ্ছে। স্বাস্থ্যদফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে একই দিনে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা সত্যিই খুব উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে রয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। কলকাতা হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে এই মেলার অনুমতি দিয়েছে। তবে আদালতের এই রায়ের পক্ষে নন অনেকেই। গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা না করলেও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ মনে করছেন, 'বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবছর মেলা না হলে ভালো হতো।'
শনিবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, 'এক বছর মেলা বন্ধ থাকলে সে রকম ক্ষতি হত না। কিন্তু কোভিড সংক্রমণ বাড়লে তা ভয়ঙ্কর হতে পারে।' বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি আরও মনে করেন, 'মেলার অনুমতি দেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত ছিল।'
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়ে সেখানে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'মেলার ক্ষেত্রে কোভিড বিধি ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা তা ঠিকমতো চেকিং করাটা খুবই জরুরি। না হলে সংক্রমণ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে। বলেছিলাম এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া উচিত ছিল।'
যদিও হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কপিল মুনির আশ্রমে একসঙ্গে ৫০ জনের বেশি পুণ্যার্থী প্রবেশ করতে পারবে না। তবে সমুদ্র তটে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের যেভাবে উপচেপড়া ভিড় হয় তা চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে সাগরে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় জমেছে। তবে এর ফলে করোনার কোনও নয়া স্ট্রেন জন্ম লাভ করতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিক। তাই সাধারণ মানুষকে কোভিড বিধি মেনে চলার বার্তা দিয়েছেন তিনি।