সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর আসন থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরে টিকিট দেওয়া হয়েছিল বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তবে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে জিততে পারেননি দিলীপ ঘোষ। এদিকে তাঁর ছেড়ে যাওয়া মেদিনীপুর আসনেও জিততে পারে বিজেপি। এই আবহে এবার প্রকাশ্যেই নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন দিলীপ ঘোষ। দলের অন্দরের ক্ষোভ নিয়ে আজ দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'ভোটে হার জিত আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সংগঠন শুয়ে পড়েছে। কর্মীরা বেরোননি।' (আরও পড়ুন: ইন্দিরার হত্যাকারীর ছেলে, জেলবন্দি খলিস্তানির জয় ভোটে, কোন পথে পঞ্জাবের রাজনীতি?)
আরও পড়ুন: ৯৯ হলেও এখনও সেঞ্চুরি করতে পারে কংগ্রেস! জোটসঙ্গীদের হাত পুড়িয়েই বদল অঙ্কে?
মেদিনীপুর থেকে তাঁকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে সরিয়ে আনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমি নিজে মেদিনীপুরে বুথ লেভেল পর্যন্ত সংগঠন তৈরি করেছিলাম গতবার। সেখানে প্রচুর কাজ করেছিলাম। সংসদ কোটার টাকায় অনেক কিছু করেছিলাম। মানুষ খুশি ছিল। সব দলের লোক আমার পক্ষে ছিল। যেকোনও কারণে হোক পার্টি ওখানে আর আমাকে টিকিট দেয়নি। সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল এটা প্রমান হয়ে গেল। দলের সংগঠন ঢিলে হয়ে গিয়েছে। আমরা এবার প্রথম লোক খুঁজেই পাইনি। তাই সব জায়গায় আমাদের ভোট কমে গেছে আর পরাজয় হয়েছে।' (আরও পড়ুন: 'অতি লোভে তাঁতি নষ্ট', বড় রায় আদালতের, মাথায় হাত পড়তে পারে সরকারি কর্মীদের)
আরও পড়ুন: ছেলের হাতের মোয়া নাকি? আদালতের কড়া শর্তে চিন্তায় কর্মরত সরকারি কর্মীরা?
এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা এবং বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আজ বলেন, 'ভোট এলেই রাজ্যে এই জিনিস হয়। যারা বিজেপি করেন, তারা এটা জেনেই বিজেপি করেন। প্রায় দশ বছর ধরে এটাই চলে আসছে। পুলিশের ওপর আর কেউ ভরসা করে না। তা সত্বেও দলীয় কর্মীরা পার্টির সঙ্গেই আছেন। ১৯ তারিখ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে।' এরপর দিলীপ বলেন, 'আমি সব জেলায় যাব। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলব। আজ থেকেই আমি এই কাজ শুরু করছি। আগেও করেছি। এখনও করব।' এরপর দিলীপ যোগ করেন, 'আমাকে মেদিনীপুর থেকে ওরা ফোন করেছিল। ওদের মন খারাপ। ভেবেছিল আমি প্রার্থী হয়েছি। জিতে যাব। আমি যাব ওখানে। বর্ধমান যাব। ওখানেও কর্মীরা আক্রান্ত। আমি রাজ্য সভাপতি থাকার সময় পুরো রাজ্যে ঘুরতাম। দল আমাকে সেই দায়িত্ব দিক বা না দিক, আমার সেই একই ভূমিকা থাকবে। যতদিন আমি রাজনীতি করব আমার ভূমিকা পাল্টাবে না।'