আদি–নব্যের দ্বন্দ্বে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বহিষ্কার হয়েছেন হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি তথা বিজেপির আদি নেতা সুরজিৎ সাহা। এই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। আর তাতেই বোঝা গিয়েছে সুকান্ত–শুভেন্দু জুটিকেই দল এগিয়ে রাখছে।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? আজ, প্রাতঃভ্রমণে এসে তিনি বলেন, ‘হাওড়ার বিজেপি নেতা সুরজিৎ সাহাকে বহিষ্কার করা পার্টির পক্ষে যুক্তিসঙ্গত কাজ। পার্টির ডিসিপ্লিন ভাঙলে পার্টি ব্যবস্থা নেবে। তাই এই ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। এই ঘটনা এখন মিটে গিয়েছে।’ সুতরাং সুরজিৎ বহিষ্কারের চ্যাপ্টার এখানেই ক্লোজ করতে চাইছেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছিলেন সুরজিৎ সাহা? বুধবার সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘এটা ভারতীয় জনতা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে এসেছেন তাঁরা নিজের বুথেই জিততে পারেন না। আর তাঁদের নিয়েই কমিটি? যাঁকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে তাঁর বুথ এলাকায় গদ্দার লেখা পোস্টার আমাকেই সরাতে হয়েছে। আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের বি–টিমের তত্ত্বাবধানে কাজ করতে পারব না। নারদ কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীকে দেখা গিয়েছে।’
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা–হাওড়ায় পুরসভা নির্বাচন। সেখানে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পার্টি একটা সিস্টেমে কাজ করে এবং পার্টিতে হাজার হাজার কার্যকর্তা কাজ করছেন। এক একজনের সমস্যা হতেই পারে। আগেও অনেকেই পার্টি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এটা নিয়ে পার্টি খুব একটা চিন্তা করে না। বুথস্তরের কার্যকর্তারাই লড়াই করে পার্টিকে জেতাবে।’ আর শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সুরজিতের অসন্তোষ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অসন্তোষ আগে থেকেই আছে। নির্বাচনের পরে অনেকেই চলে গিয়েছেন। এখন স্বাভাবিক হচ্ছে। অনেকে ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেক কিছু কথাবার্তা বলছেন।’