একটা সময় ছিল বঙ্গ বিজেপি আর দিলীপ ঘোষ ছিল একে অপরের সমার্থক শব্দ। তবে ২০১৯ সালের পর থেকে দেখা গিয়েছে যে দিলীপ ঘোষ ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছেন। তবে এবার সেই দিলীপ ঘোষকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে দলে। গত ২ সেপ্টেম্বর বিজেপির সদস্য় সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এবার ত্রিপুরায় বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে দিলীপ ঘোষকে। আগামী সপ্তাহ থেকেই যেতে হবে দিলীপ ঘোষকে।
দিলীপকে ত্রিপুরার সদস্য সংগ্রহ অভিযানের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে দিলীপ জানিয়েছেন, আমি তো কাজের মধ্য়েই থাকতে ভালোবাসি। রাজ্য়ের যেখানে যেখানে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যেতে বলা হয়েছিল গিয়েছি। স্বাস্থ্যভবন অভিযানের দিন শেষ পর্যন্ত ছিলাম। এবার ত্রিপুরার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেটাও করব। এটা আমার কাছে নতুন কিছু নয়।
একটা সময় আন্দামানে থাকতেন দিলীপ ঘোষ। এর আগে তিনি একাধিক রাজ্যের গিয়েছেন দলের প্রচারে। তবে গত কয়েক বছর ধরে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর হাতে এখন দলের রাশ। সেই নিরিখে দিলীপ ঘোষ এখন বঙ্গ বিজেপির অন্দরে আর সেভাবে গুরুত্ব পান না। যে মানুষটা বিজেপিকে কার্যত ১৮টা সাংসদ এনে দিয়েছিল সেই দিলীপকেই পরবর্তীতে গুরুত্ব দেয়নি দল। এমনকী এবারের লোকসভা ভোটেও তিনি তাঁর পুরনো কেন্দ্র থেকে টিকিট পাননি। অবধারিতভাবে পরাজিত হয়েছেন। তারপর নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। ইদানিং দলের নানা কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা গেলেও কোথাও যেন গুরুত্বহীন তিনি।
তবে দিলীপ এবার যাবেন ত্রিপুরায়। একসময়ের বাম রাজ্য। বর্তমানে সেখানে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেতৃত্ব দেবেন দিলীপ। একেবারে অচেনা ফিল্ড এমনটা নয়। এখানকার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। দিলীপ ঘোষের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবে দল। ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্ব এনিয়ে উচ্ছসিত। তাঁদের দাবি, দিলীপদা অভিজ্ঞ নেতা। আমরা তাঁকে পাচ্ছি সেটা আনন্দের বিষয়।
তবে এখানেই প্রশ্ন দিলীপ ঘোষকে পাশের রাজ্যে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে পাঠানো হচ্ছে। তবে বাংলায় কেন তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না? তবে কি বঙ্গ বিজেপিতে অচল হয়ে যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ? সেকারণেই কি দিলীপ ঘোষকে এবার ত্রিপুরায় সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামানো হচ্ছে? অভিমান দূর করতেই এই সিদ্ধান্ত? তবে কিছুটা হলেও গুরুত্ব পাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। এটাই তাৎপর্যপূর্ণ।