পেটের দায় বড় দায়। সেই পেটের টানেই যাবতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে খনিতে কাজ করতে যান অনেকেই। এদিকে সেই খনিতে কাজ করতে গিয়ে ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হন অনেকেই। এই ধরনের রোগ সাধারণত সিলিকোসিস নামে পরিচিত। সেই অভিযোগে মামলা হয়েছিল কলকাতা আদালতে। কিন্তু এবার এনিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল আদালত। আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা ও শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা করেছে তা জানাতে হবে। বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এনিয়ে জানতে চেয়েছেন। আগামী ৯ মের মধ্যে আদালত রাজ্যের কাছে এনিয়ে জানতে চেয়েছে।
এদিকে রাজ্য সরকার ২০২১ সালে এনিয়ে নির্দেশিকাও তৈরি করেছিল। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই সরকারি সেই নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখানো হয় বলে অভিযোগ। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, সেই নির্দেশিকাটি বর্তমানে যে পর্যায়ে রয়েছে তা নিয়েও জানতে চেয়েছে আদালত। অন্যদিকে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে একাধিক মৃত্যুও হয়েছে।
এদিকে এবার এনিয়ে রাজ্য সরকার কী উত্তর দেয় সেটাই দেখার। সূত্রের খবর, খনি এলাকায় প্রচুর সিলিকার ধুলো বাতাসে উড়ে বেড়ায়। এগুলি কালক্রমে মানুষের অজান্তেই শরীরের মধ্য়ে ঢুকে পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে মারণ রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায় সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা নিয়েই প্রশ্ন। এনিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল আদালতে। শান্তি গণতান্ত্রিক সংহতি মঞ্চ এই মামলা করেছিল। তবে এবার এনিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল আদালত।
এদিকে বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কয়লা খনি, পাথর খাদান, সিমেন্ট কারখানার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। সেই কারখানায় কাজ করতে গিয়ে মারণ রোগে আক্রান্ত হন অনেকেই। দিনরাত কাশি সঙ্গী হয়ে যায়। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। তবুও পেটের টানে সেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্য়েই কাজ করতে বাধ্য হন শ্রমিকরা।