অতিমারি পরিস্থিতির জের। দিনের পর দিন স্কুলে আসেন না শিক্ষকরা। তবে অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ সোশ্য়াল মিডিয়ায় শিক্ষকদের একাংশ রীতিমতো সক্রিয়। করোনা অতিমারির মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় দল বেঁধে বেড়াতে যাচ্ছেন তাঁরা। সেই ছবি ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে স্কুলে আসার জন্য অনুরোধ করলেই তাঁদের দাবি, গণপরিবহণ ঠিকঠাক চলছে না। যার জেরে তাঁরা স্কুলে যেতে পারছেন না। তবে এবার সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসেছে স্কুল পরিদর্শকরা।করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে আসার জেরে এবার স্কুল শিক্ষকদের ডিউটি তালিকা তৈরি করে স্কুলে আসার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া শুরু করেছেন স্কুল পরিদর্শকরা।
তবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশের অভিযোগ, স্কুলে হাজিরার ব্যাপারে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের কোনও নির্দেশিকা না থাকায় বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। শিক্ষা দফতর থেকেও এব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি তুলেছেন শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ। তাঁদের একাংশের দাবি, যেতে পারি। কিন্তু কেন যাব? মোটের উপর শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তি না থাকায় তাঁদের একাংশ এখনও স্কুলে যেতে চাইছেন না।
এদিকে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের দাবি, তাঁদেরকে দিনের পর দিন স্কুলে আসতে হচ্ছে। মিড ডে মিলের সামগ্রী বিতরণ, একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার কাজ করা, দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাবের বন্দোবস্ত করা সহ নানা কাজগুলিকে সুষ্ঠুভাবে করার জন্য প্রধান শিক্ষকরা স্কুলে আসছেন। এব্যাপারে অন্য়ান্য শিক্ষকদেরও স্কুলে আসার ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু নানা অজুহাত তুলে তাঁদের একাংশ বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। এদিকে ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমানের জেলা স্কুল পরিদর্শক যাবতীয় বিধি মেনে শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুলে আসার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের নির্দেশ দিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের স্কুল পরিদর্শকও এব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন।