এসএসসি দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ২০১ টি কাগুজে সংস্থার খোঁজ পেয়েছে ইডি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই সমস্ত সংস্থার যারা ডিরেক্টর ছিলেন তারা স্বল্পশিক্ষিত এবং সাকুল্যে তাদের বেতন ছিল ১৫০০০ টাকা। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য গতকাল আদালতে পেশ করেছে ইডি।
পার্থর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শেয়ার কেলেঙ্কারীর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বিচারভবনে ইডির তরফে জানানো হয়, এই ২০১টি কাগুজে সংস্থার ১০ টাকার শেয়ারকে কারসাজি করে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। এইভাবে প্রায় ২ কোটি ৭০ লক্ষ সম্পত্তি সাদা করা হয়েছে। ইডির দাবি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে এই সমস্ত সংস্থার হদিস পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, সংস্থাগুলির ডিরেক্টরদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তাদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তারা অধিকাংশই দরিদ্র এবং স্বল্পশিক্ষিত। এদের সামনে রেখেই দুর্নীতি করা হতো বলে অভিযোগ জানানো হয়। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি পার্থর এই মানসিকতাকে অমানবিক বলে মন্তব্য করেন।তার ভিত্তিতে জেলে গিয়ে পার্থ ও অর্পিতাকে জেরার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন ইডির আইনজীবী। তাদের বক্তব্য, এরকম আরও অনেক কাগুজে সম্পত্তির হদিস পাওয়া গেলেও তাদের অবাক হওয়ার কিছু নেই।
গতকাল পার্থকে আদালতে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়েছিল। তবে তাকে সশরীরে হাজিরার আবেদন জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী। যদিও বিচারক জানিয়ে দেন যে কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পার্থ আইনজীবীর আর দাবি যে সংস্থাগুলির হদিস পাওয়া গিয়েছে তাতে পার্থর নাম নেই। অন্যদিকে, ইডির দাবি, দুটি সংস্থা ‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস’ ও ‘অনন্ত টেক্সফ্যাব প্রাইভেট লিমিটেড’ পার্থ ও অর্পিতার নামে রয়েছে।