আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় ইডিকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার তৃণমূলের ৩ মন্ত্রীর আবেদনকে একযোগে কটাক্ষ করল বাম ও বিজেপি। শুক্রবার আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও অরূপ রায় ওই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন। যাকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, ‘অনুব্রতর গ্রেফতারিতে ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন তৃণমূলের মন্ত্রীরা।’
শুক্রবার সুকান্তবাবু বলেন, ‘ঠাকুর ঘরে কে, আমি কলা খাইনি। বোঝাই যাচ্ছে এই তিন জন কেন সবার আগে দৌড়াচ্ছেন। এদের সম্পত্তির পরিমাণ এত কম সময়ে এতটা বেড়েছে যে যদি ইডি তদন্ত হয় তাহলে কাপড় খুলে যাবে। অনুব্রত মণ্ডলের মতো অবস্থা হবে। তাদের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে সেটা দেখতে পাচ্ছেন। সেই ভয়ে এটা করেছেন’।
রাতে–সকালে শ্বাসকষ্ট অনুব্রত মণ্ডলের, সিবিআই নিয়ে এল কমান্ড হাসপাতালে
সুকান্তর মন্তব্য, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন মানে আপনি লুটে পুটে খেতে পারেন না। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এখন জনগণও রাস্তাঘাটে তৃণমূল নেতা দেখলে চোর চোর বলে স্লোগান দিচ্ছে। আগামীদিনে এটা আরও বাড়বে’।
একই ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, ‘দুনিয়া দেখল একটা রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রকাশ্যে বসে বলতে হচ্ছে আমরা সবাই চোর না। আমরা বলেছিলাম কারা কারা চোর সেই তালিকাটা দিয়ে দিন, তাহলে কারা চোর না সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। ইডিকে মামলায় যুক্ত না করে কি ফিরহাদ, জ্যোতিপ্রিয় ও অরূপ রায় কি স্বীকার করে নিলেন যে আমরা ভাই চোর, তাই ইডিকে ডেকো না? ইডি এলে ধরা পড়ে যাওয়ার চান্স আছে। আমরা সিআইডি ধরে ম্যানেজ করে নেব’।
তাঁর মতে, ‘তৃণমূলের মন্ত্রীরা ভয় পেয়েছে। এরা সবাই বেআইনি সম্পদের পাহাড়ের ওপরে এরা দাঁড়িয়ে রয়েছে। এদেরও জেলে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা’।
২০১৭ সালে দায়ের এক মামলায় তৃণমূলের ১৯ জন নেতামন্ত্রীর আয় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে বলে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় চলতি সপ্তাহে ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাদের দাবি, সিপিএম ও কংগ্রেসের নেতাদেরও এই তালিকায় নাম রয়েছে। তবে সিপিএম স্পষ্ট করে দিয়েছে, আবেদনে সিপিএম নেতাদের নাম থাকলেও রায়ে তাদের নাম উল্লেখ করেননি বিচারপতি। ফলে তৃণমূলের দাবি ভুয়ো। এই নিয়ে তৃণমূলকে পালটা মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম।