আরজিকরে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে এক কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে। সেটা একেবারে হাসপাতালের সেমিনার হলের ভেতর। শিউরে উঠছে গোটা বাংলা। বাংলার এক মেধাবী ছাত্রী চলে গেলেন চিরদিনের জন্য। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তার নাকি অবাধ যাতায়াত ছিল হাসপাতালে।
তবে আরজিকরেই থেমে নেই সিভিকদের এই দাপট। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আরজিকরের ঘটনার নাম করে হুমকি দেওয়ার। তবে পুলিশ গ্রেফতার করেছে সেই অভিযুক্তকে।
সূত্রের খবর, সুশান্ত রায় নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের ডিউটি ছিল হাসপাতালে। সূত্রের খবর, গভীর রাতে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিল। সেই সময় সে মত্ত অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ।
এদিকে সূত্রের খবর, সুশান্তের কথা মতো তার চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সুশান্ত তো তখন একেবারে মত্ত অবস্থায়। অবশ্য তার দায়িত্ব হাসপাতাল পাহারা দেওয়ার। সে নিজেই মত্ত অবস্থায়। সেই সিভিক রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেছিল, আরজি করে কী হয়েছে জানেন তো? এরপর অন্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের ডাকেন ওই মহিলা চিকিৎসক। তিনি ফোন করেন থানায়।
এরপর শনিবার বিকালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার আগে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা বার বার গ্রেফতারের দাবি তুলেছিলেন। জেলা উপ মুখ্য়স্বাস্থ্য আধিকারিক হাসপাতালে গিয়েছিলেন। পরে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এই ঘটনায় ফের সিভিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।