করোনা আক্রান্ত এসএসকেএম হাসপাতালের এক চিকিৎসক। মঙ্গলবার তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাঁকে বিধাননগরের আমরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই উপসর্গে ভুগছিলেন তিনি। এই প্রথম এসএসকেএম-এর কোনও চিকিৎসকের করোনা সংক্রমণ মিলল।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, কয়েকদিন ধরেই জ্বর, কাশির মতো করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি ছিলেন SSKM-এর আইসিইউতে। উপসর্গ দেখে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান চিকিৎসকরা। মঙ্গবার তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এর পর তাঁকে বিধাননগরের আমরিতে স্থানান্তরিত করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসকদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নতুন নয়। মঙ্গলবারের সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ৫৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী বিমার টাকা পেয়েছেন। ধরে নেওয়া যেতে পারে তার মধ্যে বড় সংখ্যায় রয়েছেন চিকিৎসকরা।
এপ্রিল মাসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল করোনার আঁতুড়ঘর হয়ে ওঠে। সেখানে একের পর এক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর দেহে ধরা পড়ে করোনা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে ইন্টার্নদের চিকিৎসা করা থেকে অব্যহতি দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয় এনআরএস হাসপাতালে। সেখানে ৭০ জনের বেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হয়েছিল।
এখানেই শেষ নয়, কলকাতার বাইরে হাওড়া হাসপাতালের সুপার করোনা আক্রান্ত হন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে করোনা আক্রান্ত হন একাধিক চিকিৎসক। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে যাওয়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দলের এক সদস্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ করোনা আক্রান্ত হন।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২ চিকিৎসকের মৃত্যুও হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের এক স্বাস্থ্যকর্তা। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মৃত্যু হয় অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিপ্লব দাশগুপ্তের। এছাড়া অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ শিশির মণ্ডলের প্রয়াণ হয়েছে করোনা আক্রান্ত অবস্থায়।