শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে মাস্ক পরার অভ্যাস ছেড়েছেন বহু মানুষ। আর মাস্ক পরতে চাইছেন না তাঁরা। ফলে করোনাভাইরাস নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরেই গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এমনকী উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে আবার চিকিৎসক–নার্স থেকে চিকিৎসক পড়ুয়ারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।
কোভিড গ্রাফ কেমন দাঁড়িয়েছে? স্বাস্থ্য দফতরের গত বুধবারের তথ্য বলছে, সংক্রমণ ২৯৫ থেকে ৭০০ ছাড়িয়েছে। রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯৫। বৃহস্পতিবার তা বেড়ে হয়েছে ৭৪৫। পজিটিভিটি রেট তথা সংক্রমণের হারও বেশি। রাজ্যে এখন করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগীর মোট সংখ্যা ২০ লাখের বেশি। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে সংক্রমণের গ্রাফ বাড়ছে।
বিষয়টি ঠিক কী দাঁড়িয়েছে? জানা গিয়েছে, কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক–নার্স স্বাস্থ্য কর্মী এবং চিকিৎসক পড়ুয়াদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্টেলে ৭ জন চিকিৎসক পড়ুয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জনকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিয়ালদহ আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের তিনজন চিকিৎসক অধ্যাপক এবং হস্টেলের ৪ জন ছাত্র এবং ৩ জন ছাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, আরজি কর মেডিকেল কলেজের পড়ুয়াদের হস্টেলেও ৫ জন পড়ুয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতাল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলেও বেশ কয়েকজন পড়ুয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রত্যেকটি মেডিক্যাল কলেজে বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে, প্রত্যেক পড়ুয়া, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা যেন অবশ্যই মাস্ক পরেন। সাবান, স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন। উল্লেখ্য, সোমবার ২৭ জুন থেকে স্কুল খুলছে। এখন করোনাভাইরাস বাড়ছে। ডেঙ্গি–ম্যালেরিয়ার উপদ্রবও রয়েছে।