আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। এর প্রতিবাদে এবং নিরাপত্তার দাবিতে জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার কর্মবিরতি শুরু করলেন কল্যাণী একটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য, নির্যাতিতা এই মেডিক্যাল কলেজ থেকেই এমবিবিএসের পড়া শেষ করেছিলেন। রবিবার অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে এখানকার চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন।
আরও পড়ুন: রাতে নীরজের খেলা দেখছিলেন মহিলা চিকিৎসক, ডিনার করে গভীর ঘুম,তারপর কী হল আরজিকরে?
শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হলে দ্বিতীয় বর্ষের ওই মহিলা চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জানা যায়, তাঁকে ভোর ৩ টে থেকে সকাল ৬টার মধ্যে হত্যা করার আগে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার রাতে ডিউটিতে ছিলেন। এরপর সেমিনার হলে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তারপরেই গভীর রাতে এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। পরের দিন তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়।
তারপরেই রাজ্যজুড়ে ওঠে প্রতিবাদের ঢেউ। একে একে বিভিন্ন জেলার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীরা এর প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেন। তারফলে সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে পরিষেবা পেতে গিয়ে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে রোগীদের।
অভিযোগ উঠেছে যে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে বহু রোগী ফিরে গিয়েছেন। এই হাসপাতালে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু রয়েছে। তবে অন্যান্য সমস্ত পরিষেবা বন্ধ আছে। আরজি করে ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁরা নিরাপত্তারও দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই দুটি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
জানা গিয়েছে, আরজি করের ওই তরুণী চিকিৎসক এমবিবিএসের পড়াশোনা করার সময় কল্যাণীর হাসপাতালে ছিলেন। কল্যাণীর আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, ভয়ঙ্কর এই ঘটনায় ধর্ষণকারীদের দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। হাসপাতালে নিরাপত্তার বিষয়টি আরও জোরদার করতে হবে। তবে জরুরী পরিষেবা চালু রয়েছে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও দোষীর ফাঁসির সাজার আবেদন জানিয়েছেন।