তেলের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে গতকাল থেকেই কেন্দ্র–রাজ্য বিবাদ প্রকাশ্যে এসেছে। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্য সরকারকে শুল্ক ছাড়ের কথা বলেছিলেন। সাত রাজ্যকেই নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্যে ছিল বাংলাও।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী পেট্রল–ডিজেলের উপর রাজ্যের কর কমিয়ে দিতে নিদান দিয়েছিলেন। তাহলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। যার জবাব সুর সপ্তমে চড়িয়ে দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর আজ, বৃহস্পতিবার রান্নার গ্যাস–জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে রান্নার গ্যাসের দাম ৩০০ টাকা কমানো উচিত বলেও মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই হারে তেল এবং গ্যাসের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের উপর চাপ তৈরি হচ্ছে। গ্যাসের দাম না কমানো হলে সাধারণ মানুষের সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র একতরফা ভাবে রাজ্যের উপর দায় চাপাচ্ছে। রান্নার গ্যাসের দাম অবিলম্বে ৩০০ টাকা কমানো উচিত বলে মনে করি। কেন্দ্র তা করছে না কেন?’ একইসঙ্গে বিচারপতিদের সম্মেলনে নয়াদিল্লি গেলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন না বলে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের বলার সুযোগ ছিল না। তাই সেই বৈঠক শেষ হতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাংলা ৯৭ হাজার কোটি টাকা পায়। সেই টাকাও কেন্দ্র দিচ্ছে না। এই ৯৭ হাজার কোটি টাকা পেলে তিন দিনের মধ্যেই রাজ্য কেন্দ্রের সব ঋণ শোধ করে দেবে। তেলের প্রসঙ্গ এনে বৈঠককে রাজনীতির দিকে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। নিজেরা লুঠ করছে আর তার দায় রাজ্যগুলিকে নিতে হবে। এটা সম্ভব নয়।