‘ছেলের হাতে মোয়া। জাস্ট লালিপপ। কোনও বৈষম্য হলে মানব না। যদি একটা ক্যা করে বলেন আপনি নাগরিক তাহলে কি নাগরিক ছিলেন না এতদিন। কেন তাদের আধার কার্ড বাতিল করছিল? আমাদের থিওরি হল সবাই নাগরিক। সিএএ নিয়ে নবান্নে জরুরী বৈঠকে বসেন মমতা। তিনি বলেন, একমাত্র ক্যা যদি বৈধ হয় তবে তাদের ভোটেই তো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে তবে সেই ভোটের কোনও মূল্য নেই। ভোটের আগে নতুন করে বলতে হচ্ছে। যদি ক্যা দেখিয়ে, এনআরসি দেখিয়ে যারা এখানকার নাগরিক তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয় তবে প্রতিবাদ করব। ক্যার নাম করে ডিটেনশন ক্যাম্পে সেটা মানব না। এটা জাস্ট প্রতারণা। ছলনা। এতে কেউ খুশি হলে আমি খুশি হব। কেউ দুঃখ পেলে আমি দুঃখ পাব। আমি মনে করি এখানে সকলে যারা আছেন তাঁরা সকলেই নাগরিক। এই নয়া আইন আগের অধিকারগুলিকে বাতিল করে দেবে না তো?’ সাংবাদিক বৈঠকে আগাম জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী।
মমতা বলেন, ‘বাংলা সহ উত্তর পূর্বে এটা কিন্তু খুব সেনসেটিভ। নতুন করে অশান্তি হোক এটা চাই না। পায়ে পা লাগিয়ে কিছু করা হলে এটা মানব না। রমজানের অভিনন্দন। কিন্তু এই দিনেই কেন করতে হল? সবাইকে শুভনন্দন। ভয় পাবেন না, চিন্তা করবেন না। কারোর অধিকার কেড়ে নিলে তৃণমূল আওয়াজ তুলবে। তার সূচনাটা বলে দিলাম। মধ্য়গগনে কী ফুল ফুটবে তা তো জানি না। সাহস থাকলে ৬ মাসে আগে দিতেন। হঠাৎ ভোটের আগে এসব করতে হল কেন? ছলনা সবসময় ছলনা। দেশের খারাপ হলে সেটা সমর্থন করি না।’
সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘ প্রধানমন্ত্রী মহাকাশে সাফল্য নিয়ে ঘোষণা করতে পারেন। মহাকাশচারীদের অভিনন্দন জানিয়ে যাচ্ছি। তবে ক্যা নিয়ে কিছু বললে সন্দেহের মধ্য়ে আছি। …বাকিটা কাল বলব। আইনের কাগজ দেখে পরে বলব। হাবড়ার মিটিং থেকে বলব। এনআরসি ক্যা নিয়ে বৈষম্য হলে, বিতাড়িত হলে তৃণমূল মুখ বুজে বসে থাকবে না।’
এদিকে ব্রিগেডের মিটিং থেকেও মমতা এনিয়ে তোপ দেগেছিলেন রবিবারই। সোমবার ফের সাংবাদিক বৈঠকে এনিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
এদিকে সোমবার রাতেই সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে।