বিপি গোপালিকা। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হিসাবে তিনি বর্তমানে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বাংলার নতুন মুখ্যসচিব হিসাবে তাঁর নামই চর্চায় উঠে এসেছে বলে খবর। এদিকে বিপি গোপালিকা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কারণ তিনি যখন তৃণমূলে ছিলেন, রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলাতেন তখন বিপি গোপালিকা ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ দফতরে। এদিকে সেই বিপি গোপালিকা এবার হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর জায়গায় আসতে চলেছেন এই খবর সামনে আসতেই কার্যত হইচই পড়ে গিয়েছে। তবে কারো নাম না করেই এনিয়ে তোপ দেগেছেন Suvendu Adhikari।
এদিকে আগামী ৩১শে ডিসেম্বর হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর ৬ মাসের এক্সটেনশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে নতুন নাম নিয়ে চর্চা হচ্ছে। আর সেই তালিকায় ১ নম্বরে যিনি রয়েছেন তিনি হলেন আইএএস বিপি গোপালিকা। আর নাম না করে তাঁকে কার্যত দুর্নীতিগ্রস্ত বলে উল্লেখ করলেন তিনি।
কার্যত হাটে হাড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু।নাম না করে শুভেন্দু বলেন, স্বরাষ্ট্রসচিবকে মুখ্যসচিব করা হচ্ছে। এই স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আমি কিছুদিন পরিবহণ দফতরে কাজ করেছি। এত বড় কোরাপ্টেড অফিসার আপনি খুঁজে পাবেন না। তাঁর পরিবারের লোক স্টেট হাইওয়ে কর্পোরেশনে স্পেশাল, এক্সট্রা অর্ডিনারি বেআইনিভাবে সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে। আমি সঠিক সময়ে তথ্য দিয়ে দেব। তিনি সম্পূর্ণ কোরাপ্টেড আইএএস অফিসার। দাবি শুভেন্দুর।
কার্যত যেদিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন শুভেন্দু, তাতে এটা আঁচ করা যাচ্ছে যে বিপি গোপালিকাকে নিশানা করেই তিনি তিরটি ছুঁড়েছেন।
এদিকে সূত্রের খবর, মুখ্য়মন্ত্রীও মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিপি গোপালিকাকে পরবর্তী মুখ্যসচিব করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। তবে স্বরাষ্ট্রসচিব পদে থাকাকালীনও শুভেন্দুর সঙ্গে বিপি গোপালিকার সংঘাত নতুন কিছু নয়। মুখ্য়সচিব পদে যদি তিনি আসেন তবেও কি সেই সংঘাত আরও বাড়বে?