সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে খুলেছে অফিস কাছারি। লোকাল ট্রেন না চলায় নানা ভোগান্তি সহ্য করে চাকরি অভিযানে বেরোতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত বাঙালিকে। অবস্থাটা বিশেষ করে করুণ কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায়। সেখানে গোটা ব্যবস্থাটাই লোকাল ট্রেন নির্ভর। এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং ভুলে গাদাগাদি করে বাসে চড়ে অফিস পৌঁছতে হচ্ছে সবাইকে। অনেকে ভাড়ার গাড়ির ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু অফিস পৌঁছতে দেরি হওয়ার আশঙ্কায় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও থাকছে। সাধারণ মানুষকে আপনজনের মতো সেকথা মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, অফিসে পৌঁছতে একটু দেরি হলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না। কিন্তু জীবনটার দাম অনেক বেশি।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে লকডাউন। ওদিকে রেলের তরফে জানানো হয়েছে সেদিন পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলার কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে অফিস যাওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা করতে মাথা খাটাচ্ছেন অনেকেই। সমস্যার সমাধানে সাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে সোমবার জানান মমতা। কলকাতায় কোন কোন রাস্তায় সাইকেল চালানোর অনুমতি দেওয়া যায় তা নিয়ে কলকাতা পুলিশকে ভাবতে বলেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গেই পথ নিরাপত্তার বিষয়টি মনে করান মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, ‘জীবন সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটু অফিসে যেতে দেরি হলে মহাভারত অশুদ্ধ হবে না। কিন্তু একটা জীবন তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে যদি শেষ হয়ে যায়, জীবনটার দাম অনেক বেশি। সেই জন্য অ্যাক্সিডেন্টের মধ্যে যাতে না যেতে হয় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে ফার্স্ট। তাড়াহুড়ো করা যাবে না।‘
নাগরিকদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর কাতর আবেদন, ‘তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আমরা বাজারে যাচ্ছি ফটাফট এর ঘাড়ে, ওর ঘাড়ে দাঁড়িয়ে মাছ কিনে চলে আসছি। এটা বারণ করছি এই জন্য... আপনারা শুনলে হয়তো রেগে যাবে। কিন্তু আমি আপনাদের আপনজন হিসাবে বলছি। এতে কী হচ্ছে, আরেকজনের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসটা আপনার গায়ে লাগছে। আপনি বুঝতেও পারছেন না। করোনা তো অনেকে এখন বুঝতেই পারছেন না। যারা লক্ষণহীন।‘