আমফানের জেরে তিন দিন ধরে বিদ্যুৎহীন দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। এমনকী কলকাতাতেও অনেক জায়গায় ফেরেনি বাতি। একে লকডাউনে গৃহবন্দী মানুষ, অন্যদিকে জষ্টিমাসের প্যাচপ্যাচে গরম, সহ্য না করতে পেরে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে রাস্তায় নেমে গিয়েছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে খুব আশার কথা শোনাতে পারলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তিনি যা বলেছেন, তাতে জেলার বাসিন্দাদের চিন্তা আরও বাড়বে।
শনিবার প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে কাকদ্বীপ উড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। হেলিকপ্টারে ওঠার আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘শহরে সাত দিন লাগবে। গ্রামে কতদিন লাগবে আমি জানি না।’
নিজের পীড়ার কথা জানিয়ে মমতা বলেন, ‘আমার ফোনও কাজ করছে না। মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, CESE-র অধীনে যে সব ঠিকাদারি সংস্থার কর্মীরা বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার কাজ করেন, লকডাউনের জেরে তাঁদের অনেকেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তাঁদের ফিরিয়ে এনে কাজে নামানোর চেষ্টা চলছে।
পরিস্থিতি যে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে এদিন তাও স্বীকার করেন মমতা। বলেন, ‘১৭৩৭ সালের পর এই রকম ঝড় হল। একটু সহ্য করতে হবে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। কিন্তু সবটা আমাদের হাতে নেই।’
মুখ্যমমন্ত্রীর দাবি, ঘূর্ণিঝড় ফণির পর বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে দেড় মাস লেগেছিল। এখানে তিন গুণ ঝড় হয়েছে। কলকাতায় সাত দিন লাগবেই। গ্রামে কতদিন লাগবে জানি না।